ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ॥ এমসি কলেজ এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের দাবিতে পুলিশ কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি

9
আইন সংশোধন করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের দাবিতে ২০, ২১ ও ২৪নং ওয়ার্ড এবং টুলটিকর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদন প্রদান করা হচ্ছে।

আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০, ২১ ও ২৪ নং ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার টুলটিকর ইউনিয়নবাসী। এছাড়া এমসি কলেজ ও পাশ^বর্তী এলাকায় অপরাধ নির্মূলে পুলিশ ক্যাম্প ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিতে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
গতকাল রবিবার (১১ অক্টোবর) এলাকার লোকজনের পক্ষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতিতে আবেদনটি গ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মীর মো. মাহবুবুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দেওয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ২০, ২১ ও ২৪নং ওয়ার্ড এবং সিলেট সদর উপজেলার ৫নং টুলটিকর ইউনিয়নের বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। ধর্ষনের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই এলাকার লোকজন এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে বৃহৎ মানববন্ধন করা হয়। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশ থেকে ধর্ষণ নির্মূল করতে হলে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের এমসি কলেজ, সরকারি কলেজ, কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও পাশর্^বর্তী এলাকায় ধর্ষণ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, ছিনতাই ও রাহাজানিসহ বিভিন্ন রকম অনৈতিক ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ ঘটে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২০, ২১ ও ২৪ নং ওয়ার্ড এবং সিলেট সদর উপজেলার ৫নং টুলটিকর ইউনিয়নের সর্বস্তরের নাগরিক দলমত, জাতিধর্ম নির্বিশেষে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। এমসি কলেজ ও পাশর্^বর্তী এলাকায় অপরাধ নির্মূলে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন ও উক্ত এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা প্রয়োজন।
আবেদনপত্র ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, পঞ্চায়েত কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক সৈয়দ মকসুদ আলী, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, টিলাগড় পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছমর উদ্দিন মানিক, টুলটিকর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আলী হোসেন, টিলাগড় পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য শফিউর রহমান সোলেমান, মণিপুরী আখড়া কমিটির সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বদর, শাপলাবাগ বহুমুখী উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আবদুস সালাম, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আর সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মুহিবুস সালাম রিজভি, সহ সভাপতি এনায়েতুল বারী মোর্শেদ, টুলটিকর সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জব্বার আহমদ পাপ্পু, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ, কাতার প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কয়সর রশিদ, টিলাগড় মসজিদ কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম বখত জেম, ভাটাটিকর যুব সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান শিপলু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি