হাটুরে

35

শহিদুজ্জামান মিলন

হাটুরে যায় হাটের পানে, ব্যস্ত ভীষণ তাই।
পশ্চিমে যে ডুবলো বেলা, হাটের বেলা যায়।

হাটের থলে তেলের বোতল, সব বেঁধেছে বাঁকে।
সারাদিনে আয় ছিলো যা নিয়েছে তা গাটে।

মেঘলা আকাশ ঝড়ো হাওয়া, পা ফেলছে জোরে,
হাটুরে বউ ঘোমটা মুখে, একলা ঘরের দোরে।

চাল কিনলো ডাল কিনলো, কিনলো আরো রুই।
কিনলো লাউ কিনলো কচু, সঙ্গে আরো পুঁই।

বউয়ের জন্য নিলো আরো পান তামাক সুপারি।
এটা পেলে বউটা যে তার খুশি হবে ভারি।

সওদা শেষে বাকের মাথায় বাঁধলো হাটের থলে,
গানের সুর গলায় তুলে হাঁটছে বাকের তালে।

পথের মাঝে আসলো যখন পড়ল ভীষণ ঝড়ে,
খড়কুটোর ঘরখানি তার আজকে না যায় পড়ে?

হাটুরে বউ একলা ঘরে খোদাতায়ালার ডাকে,
ঘুটির সাথে মাথা চেপে, ভয়ে ভয়ে থাকে।

একটু পরে ঝড়ের গতি আরো গেলো বেড়ে,
এক নিমিষে ঘর খানি তার কোথায় গেল উড়ে।

কোথা থেকে একটা গাছ পড়লো গায়ের উপর,
রইলো পড়ে হাটুরে বউ শূন্য হলো ঘর।