ইশ ! এ সড়ক দেখতে কবে যে যাবো – প্রধানমন্ত্রী

74

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পণ্য পরিবহন ও মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে কাজ করছে। নৌপথ, সড়ক পথ ও রেলপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে- সেখানে মানুষের অর্থনৈতিকভাব স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ। যে কোন ধরনের সমস্যা সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগই হোক না কেন, আমরা সেগুলো মোকাবেলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
আসন্ন শীতে কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় সরকার জেলা হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থাসহ প্রস্তুত রাখার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন শীতে কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ আসতে পারে। সেটা মাথায় রেখে তা কার্যকরভাবে মোকাবেলার জন্য প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ নির্মাণ থেকে শুরু করে অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ তাৎক্ষণিক সব ধরনের চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অলওয়েদার সড়ক নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা মুজিব শতবর্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এটি উপহার হিসেবে দিয়েছি।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে এমন সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তাঁর (রাষ্ট্রপতির) অনুপ্রেরণা ও উদ্যোগের কারণে রাস্তাটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ অঞ্চলে এ জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হতে পারে এটা কল্পনার বাইরে ছিল। রাষ্ট্রপতির উদ্যোগের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ দূর হয়ে যাবে। এই সড়ক হওয়ায় কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের মানুষের এখন আর সেই ‘আগের মতো দুঃখ থাকবে না’ বলে আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে মহাসড়কটির ওপর একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়। ভিডিওতে হাওরের বিস্ময় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের ভিডিও চিত্র দেখে হাওড় ও সড়কটির সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইশ! কবে যে সড়কটি দেখতে যাব। আমার মনটা পড়ে থাকল। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব? রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই এ সড়ক দেখতে যাব।’ এ দুর্দিন কেটে যাবে- সেই আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যখনই সুযোগ পাব, সবার আগে আমি এই জায়গায় আসব, এই রাস্তায় আসব; ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামে আমি যাব।’
উল্লেখ্য, হাওড়ের বিশাল জলরাশির মাঝখানে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক এখন একটি আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এরই মধ্যে হাওড়ের নৈসর্গিক রূপ দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসছে মানুষ। বর্ষায় মাইলের পর মাইল বিস্তীর্ণ জলরাশি, বর্ষা শেষে জলকাদা আর শুকনো মৌসুমে ফসলি জমি। বর্ষায় নৌকা আর অন্য ঋতুতে হাঁটা ছাড়া চলাচলের কোন উপায় ছিল না হাওড়বাসীর। যোগাযোগে এখানকার মানুষের কষ্ট লাঘবে বিশাল হাওড়ের মধ্যে এ সড়ক নির্মাণের স্বপ্ন দেখেন ‘ভাটির শার্দুল; রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ জেলার তিন উপজেলার মধ্যে সারা বছর চলাচলের জন্য নির্মিত হয় ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক। সড়কটি নির্মাণের ফলে শুধু হাওরবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ দূর হয়েছে তা নয়, নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ৮৭৪ দশমিক ০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি নির্মাণ করেছে। হাওরের বুক চিরে চলে যাওয়া ২৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ অল-ওয়েদার সড়কে ৫৯০ দশমিক ৪৭ মিটার দীর্ঘ তিনটি পিসি গার্ডার, ১৯০ মিটার দীর্ঘ ৬২টি আরসিসি বক্স কালভার্ট, ২৬৯ দশমিক ৬৮ মিটার দীর্ঘ ১১টি আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬১ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ ভাতশালা সেতু, ১৭১ দশমিক ৯৬৪ মিটার ঢাকী সেতু ও ১৫৬ দশমিক ৭২ মিটার দীর্ঘ ছিলনী সেতু সড়কের সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্ষায় ভাঙন থেকে এ সড়ক রক্ষায় ৭ দশমিক ৬০ লাখ বর্গমিটার সিসি ব্লক দিয়ে সেøাপ প্রটেকশনের কাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ স্থানটি সারাদেশের মানুষের নজর কেড়েছে, প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এ স্থানটিতে গিয়ে হাওরের প্রকৃতি রূপ অবলোকন করছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে একটা সড়কের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছি; যাতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা নৌপথগুলো সচল করা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। রেলপথ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করে এবং আরও নতুন নতুন অঞ্চলে রেললাইন সম্প্রসারণ করে রেলে যোগাযোগের সুযোগটা বাড়াচ্ছি। নৌপথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি, সড়ক পথেও যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। কেননা যখন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে, মানুষের পণ্য পরিবহনের সুবিধা হবে- সেখানে মানুষের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বিতা ফিরে আসবে।
এ অঞ্চলের মানুষ এখন নাসিরনগর বা ভৈরব হয়ে দ্রুত ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, আমরা এই সড়ক নির্মাণ করে একটি দুর্দান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। পণ্য পরিবহন ও মানুষের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার সারাদেশে ‘যোগাযোগ নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।’
এই সড়ক হওয়ায় কিশোরগঞ্জের হাওড়াঞ্চলের মানুষের এখন আর সেই আগের মতো দুঃখ থাকবে না বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রামÑ ওই অঞ্চলের মানুষ বর্ষাকালে যখন পানি, তখন নৌকায় যাতায়াত করতে পারত। কিন্তু শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা তেমন ছিল না হাঁটা ছাড়া। সেই জন্য এলাকায় একটা কথা প্রচলিতই ছিল যে, ‘বর্ষায় নাও, শুকনায় পাও।’ আজকে আর সেটা নেই। এখন আর শুধু দুই হাঁটতে হবে না। এখন গাড়ি ঘোড়া সবই চলবে, সেই ব্যবস্থাটা করা হয়েছে।
দেশের কোন অঞ্চলের মানুষ আর অনুন্নত থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল হবে। হাওড় এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা ও গড়ে তুলতে চায় সরকার। যেখানে যে পণ্যটা উৎপন্ন হয় সেখানেই সেই শিল্প গড়ে তোলার দিকে সরকার নজর দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু হাওড়ে একটা বিশাল মৎস্য ভান্ডার রয়েছে তাই এই মৎস্য উত্তোলন, লালন-পালন ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণের সুবিধা হয় সেই লক্ষ্যেই আমরা এই অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, কৃষি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল অঞ্চলগুলোতে গড়ে তুলব খাদ্য এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প। কারণ শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল থাকলেই হবে না। পণ্য উৎপাদন, বাজারজাত এবং বিদেশে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আমাদের অর্জন করতে হবে- সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আরও অনেক কর্মসূচী আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়ায় অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির এখন কেবল ঢাকা শহরেই নয় বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে এই অঞ্চলের মানুষ যেন আরও সমৃদ্ধিশালী হয় সেটাই আমরা করতে চাচ্ছি।
বৈশি^ক মহামারী করোনা মোকাবেলায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের করোনা থেকে বাঁচাতে তাদের খেলাধুলা করা এবং রোদের সংস্পর্শে আসার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের মুক্ত বাতাসে থাকতে হবে এবং রোদে থাকাটা জরুরী। অভিভাবকদের নিজেদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বিষয়টি মাথায় রাখার পাশাপাশি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে, যাতে এই করোনাভাইরাসে আর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন।’
করোনা জয় করেই তাঁর সরকার এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। কাজেই যে কোন ধরনের সমস্যা সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগই হোক না আমরা সেগুলো মোকাবেলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এ সময় ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে দৃপ্তকণ্ঠে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোতে ইতোমধ্যে ২ হাজার ডাক্তার এবং ৩ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি।’ করোনাভাইরাস কেবল বাংলাদেশেই নয়, সমগ্র বিশে^ই ক্ষতির একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব থেকে কষ্টের একটা বিষয় হচ্ছে আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। তাদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও আমরা চাচ্ছি তাদের পড়াশোনাটা যাতে চলমান থাকে সেজন্য সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠ্যক্রম চলছে।’ তিনি এ সময় ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাঁর সরকারের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টায় অভিভাবকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।
শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তাঁকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাও এ অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভবিষ্যত আশা-আকাক্সক্ষা সবই শেষ হয়ে যায়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। আমি ধন্যবাদ জানাই, বাংলাদেশের মানুষ আমাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই তাদের সেবা করার সুযোগ পাই। আর বিশেষ করে এই অঞ্চলটা- বিশেষ করে ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রামের মানুষ চিরদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে। যত বাধা বিঘ্ন- যাই আসুক না কেন, সব সময় তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে গেছে। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আমাদের এটাই লক্ষ্য যে মুজিবর্ষে আমরা এদেশের মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দূর করে এদেশের মানুষকে একটা সুন্দর জীবন দেব। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আমাদের এটাই লক্ষ্য যে, মুজিববর্ষে আমরা এদেশের মানুষের দুঃখ, দুর্দশা দূর করে এদেশের মানুষকে একটা সুন্দর জীবন দেব।
প্রধানমন্ত্রী পরে উপকারভোগী, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম প্রকল্পের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।