মেস ও হোস্টেল ভাড়া নিয়ে বিপাকে শাবি শিক্ষার্থীরা

20

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
মেস ও ছাত্রী হলের আওতাধীন হোস্টেল ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিপাকে পড়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গণমাধ্যমে প্রেরিত তিনশত চারজন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত প্রেস রিলিজে এ আহ্বান জানান তারা।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, ‘বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে পুরো পৃথিবীর সাথে আমাদের দেশেও তৈরী হয় মৃত্যু ভয় এবং সেই সাথে বাঁচার ও নিরাপত্তার তাগিদ। তারই ধারাবাহিকতায় ছয় মাসের অধিক সময় ধরে বন্ধ আছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। শুধু বন্ধ হয়নি শিক্ষার্থীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার নানামুখী চাপ। মেস ও হোস্টেল ভাড়া সমস্যাটি তন্মধ্যে সবচেয়ে জটিল এবং প্রকট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পর্যাপ্ত সিট না থাকার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শেষ আশ্রয়স্থান মেসগুলো। এর মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই মেস ভাড়া বহন করে থাকে টিউশনির অর্থ দিয়ে। আর কিছু শিক্ষার্থীর যোগান আসে পরিবারের শ্রমের টাকা থেকে।
গত মার্চ মাস থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের যেমন টিউশন বন্ধ রয়েছে তেমনি ব্যাহত হয়েছে পরিবারের অর্থনীতির চাকা।
কিন্তু এর ভেতরেও থেমে ছিলো না মেস ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা যার কোন সমাধান এখনও হয়নি। অনেকেরই এই অনিশ্চিত সময়েও নিশ্চিতভাবে দিতে হয়েছে মেসভাড়ার টাকা। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জমে যাওয়া বকেয়া পরিপূর্ণভাবে পরিশোধের চাপ বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে মেস থেকে বের করে দেওয়া, মেসে পরিকল্পিত চুরির ঘটনা ঘটানোসহ অনেক শিক্ষার্থী চরমভাবে মেস-মালিকদের হয়রানির শিকার হচ্ছে।
প্রেস রিলিজে শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেস ভাড়া সমস্যার ব্যাপারে সন্তোষজনক সমাধান হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর পদক্ষেপ কিংবা সমাধান কোনোটিই হয়নি। এমনকি উপাচার্য স্যার সাংবাদিকদের সাক্ষাতকারে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কোন সুরাহা হয়নি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলগুলোর আওতাধীন হোস্টেলগুলোর মধ্যে রয়েছে- সামাদ হাউজ, ফজল কমপেক্স, আমির কমপেক্স ও ছাড়ানীড়। এসব হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের পক্ষেও গত ছয়মাসের ভাড়া পরিশোধ করা এক প্রকার অসম্ভব।
এছাড়া ছাত্রীহলের আওতাধীন হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের গত ছয়মাসের ভাড়ার অন্তত ৬০% মওকুফ করে বাকি ৪০% ভাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সবমিলিয়ে আমাদের এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে খুব শীঘ্রই একটা কার্যকর সমাধান অতীব জরুরী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অবশ্যই দ্রুততর সময়ের মধ্যে একটা প্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখি।