শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ

7

শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে ওএমএসএস এর চাল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের হতদরিদ্র মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। এতে প্রতিবার ১০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করার নিমিত্তে সিন্দুরখান ইউনিয়নের ৬১৫ জন হতদরিদ্র মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে অতি দরিদ্রদের নামে চাল বিতরণের কার্ড করা হয়।
সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ডোবাগাঁও (তেলিআব্দা) গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এর জাতীয়পরিচয়পত্র নং- ৫৮১৮৩৭৬১৩৩৫৮৪ এবং মো. আরজু মিয়ার জাতীয়পরিচয়পত্র নং- ৫৮১৮৩৭৬১৩৩৫৪৮ এর বিপরীতে এলাকার ইউপি সদস্য মো. মোছাব্বির মিয়ার নির্দেশনায় তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে ভুয়া টিপসই ব্যবহার করে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ তাদের এই চাল গোপনে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে দীর্ঘ তিন মাসেও কোন সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেন মো. আরজু মিয়া ও মো. শাহজাহান।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারীরা বলেন, বিগত ২০১৬ সালে ওএমএসএস এর আওতাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলার খাদ্য গুদামের তালিকাভুক্ত সরকারের উপকারভোগী চাল গ্রাহক করার নিমিত্তে তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেন ইউপি সদস্য মো. মোছাব্বির মিয়া। তথাপী তাদের কার্ডগুলো উপজেলা অফিস হতে বাতিল করা হয়েছে মর্মে তাদেরকে জানানো হয়। অথচ চলতি বছরের মার্চ মাসে সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তকবীর হোসেন এর স্বাক্ষরিত ওএমএসএস এর চুরান্ত চাল বিতরণপত্রে ৫৮ নং ক্রমিকে মো. শাহজাহান এবং ৬৬ নং ক্রমিকে মো. আরজু মিয়ার নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে টিপসই দেখিয়ে নিয়মিত চাল উত্তোলন করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা আরো উল্লেখ করে বলেন- আমরা নাম দস্তখত করতে জানি, টিপসই দেন দেবো। সরকারের ঘরে ভুয়া টিপসই দিয়ে আমাদের চাল আত্মসাৎ করে আমাদেরকে বি ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আব্দুস সালাম মধু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. বখতিয়ার উদ্দিন, মো. ছানু মিয়া, আলম মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মো. মোছাব্বির মিয়া বলেন- সামনে নির্বাচনকে ইস্যু করে একটি মহল আমার নামে এলাকায় অপপ্রচার করছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না উল্লেখ করেন সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হেলাল। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন- বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।