ফেঞ্চুগঞ্জে নতুন শাহজালাল সার কারখানার চিত্র বদলে যাচ্ছে, ছোঁয়া লাগছে আধুনিকতার

7

ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে সারের চাহিদা মেটাতে ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মিত নতুন শাহজালাল সারকারখানা সারের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রথম থেকেই। সার উৎপাদন করে কৃষক পর্যন্ত পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সার কারখানার শ্রমিকরা। কিন্তু কেমন আছেন তারা, কিভাবে বসবাস করছেন তা দেখার জন্য সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন মানউন্নয়নের চিত্র।
অতিসম্প্রতি ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল সারকারখানা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নতুন আধুনিক কারখানাটি যেমন যুৎসই তেমন দৃষ্টিনন্দন। এ ছাড়াও সম্প্রতি বদলে গেছে আবাসিক এলাকার চিত্র। খানাখন্দ, কাদাযুক্ত রাস্তা আর নাই। নতুন আরসিসি সড়কটি ঝকঝকে করে তুলেছে এলাকা। স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে যাতায়াতে। কারখানার পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক আবাসিক ভবন। আবাসিক এলাকার ভবনগুলো ঘুরে করে দেখা যায় সৌন্দর্যের পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে সবধরনের আবাসিক সুবিধা।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ড্রাস্টিয়াল করপোরেশনের অর্থায়নে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদের উদ্যোগ ও তত্ত্বাবধানে সারকারখানার প্রশাসন কর্মকমর্তা, সিবিএ এবং শ্রমিকদের সহযোগিতায় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে কার্যকর করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন নতুন বাজার, ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসের কাজ প্রায় শেষের পথে। ইতোমধ্যে আবাসিক স্কুল এন্ড কলেজের কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।
সারকারখানায় কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক জানান, ইতোমধ্যে তারা নতুন বাসা (হাউজ বিল্ডিং-এ) পেয়েছেন। যা আগের চেয়ে অনেক ভালো ও বসবাসযোগ্য।
সারকারখানায় কাজ করা মাস্টার অপারেটর আব্দুস সালাম জানান, ২০১০ সালের পর পুরোনো সারকারখানা ডিজেবল ঘোষণার পরে নতুন কারখানার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, কারখানার প্রশাসন, সিবিএ নেতারা অনেক ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে কারখানা এলাকার জরাজীর্ণতা কেটেছে। এখনো কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে যা দ্রুত শেষ হবে।