চুনারুঘাটে যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

10

চুনারুঘাট থেকে সংবাদদাতা :
নিয়মনীতি উপেক্ষা না করে চুনারুঘাটে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিই গ্যাস সিলিন্ডার। বেশিরভাগ বিক্রেতার নেই বিস্ফোরক লাইসেন্স। নিয়মানুযায়ী এলপিই গ্যাস ব্যবহার ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করার কথা থাকলেও কেউ নিয়ম মানছেন না। এতে করে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উপজেলা সদর সহ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ এ গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌর শহরের উত্তর বাজার, মধ্য বাজার, দক্ষিণ বাজার, বাল্লারোড, কলেজ রোড, মাদ্রাসা রোড এবং উপজেলার রানীগাঁও বাজার, গাজীগঞ্জ বাজার, নালমুখ বাজার, আসামপাড়া বাজার, আমুরোড বাজার, ছাদ্দাম বাজার, চান্দপুর বাজার, শাকির মোহাম্মদ বাজার, দূর্গাপুর বাজার, সুন্দরপুর বাজার, কাজিরখিল, বাসুল্লা বাজার, রাজার বাজার সহ বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকান, ইলেকট্রনিক্স দোকান, মোবাইল দোকান ও পান সিগারেটের দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রেতারা দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাজিয়ে গুছিয়ে বিক্রি করছে গ্যাস সিলিন্ডার। শুধু চুনারুঘাট শহরেই নয় হবিগঞ্জ জেলার ছোট বড় হাট বাজারগুলোতেও বিক্রি করছে গ্যাস সিলিন্ডার। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর এলপিই বিক্রেতার লাইসেন্স নেই। নেই অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এখন থেকেই সরকারিভাবে নজরদারিতে আনা উচিত। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সত্যজিত রায় দাশ এ প্রতিবেদককে বলেন, দেখার দায়িত্ব বিস্ফোরক অধিদপ্তরের। তারপরও যত্রতত্রভাবে লাইসেন্সবিহীন এলপিই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে জনসাধারণের সুবিধার্থে ও বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেতে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশু পদক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।