শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যয়

16

দীর্ঘ ছয় মাস টানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালা বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। করোনা সংকটকালে সরকার অনলাইন শিক্ষার ব্যবস্থা করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী এর সুবিধা থেকে দূরে ছিল। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত ছিল। অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করেছে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী, যাদের বাসা-বাড়ীতে টিভি বা চ্যানেল সংযোগ রয়েছে, এসব গুটিকয়েক শিক্ষার্থী ছাড়া বৃহত্তর শিক্ষার্থী অনলাইন থেকে শিক্ষা পায়নি।
অনলাইনও স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণে শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেও গ্রামাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী এসব অনলাইন শিক্ষা থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে অনলাইনে ও স্মার্ট ফোনে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়া কি দাঁড়াবে।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্ট ফোন এর ভবিষ্যৎ কতটুকু সুফলতা বয়ে আনবে তা নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায় ভোগছেন। এ নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন স্কুল পর্যায় শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকলে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে স্মার্ট ফোন সেট বিতরণসহ ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন।
এদিকে দীর্ঘ ছয় মাস যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক (শ্রেণী) কার্যক্রম বন্ধ; ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের অর্ধেক শেষ হলেও সবধরনের পাবলিক পরীক্ষা ঝুলে রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলা না থাকলেও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নিয়ে অভিভাবক মহল চরম বিপাকে পড়েছেন। অভিভাবকদের দাবি অর্ধেক টিউশন ফি দেয়ার। কিন্তু কোন ফল হচ্ছে না।
অপর দিকে অনলাইন ও টিভিতে সিমিত শিক্ষার্থী ক্লাস করার সুযোগ পেলেও বৃহত্তর শিক্ষার্থী এ সুযোগ পাচ্ছে না। সর্বদিক বিবেচনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সকল শিক্ষাবিদ বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে আসা খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।