নবীগঞ্জের নহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ॥ ভবন আছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবই আছে, নেই শুধু রাস্তা

10

নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার নহরপূর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন আছে শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষকও আছেন। কিন্তু নেই শুধু স্কুলে আসা-যাওয়া রাস্তা। ফলে স্কুল খুললে যাওয়া-আসা করতে হবে শিক্ষার্থীদের ও এলাকাবাসীদের চরম দুর্ভোগ পড়তে হবে।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্কুল সংলগ্ন ১০টি পরিবারকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিদিন। যার প্রভাবে ওই স্কুল খুললে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার সম্ভাবনা থাকবে। একটি রাস্তা না থাকায় সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও স্কুল প্রতিষ্ঠাতারা স্কুলে যাওয়ার জন্য কোন রাস্তা দান করে যাননি। যার কারণে স্বাধিনতার ৪৯ বসৎরে জায়গার জন্য স্কুলের রাস্তাটি আজ অব্যদি হয়ে উঠেনি। স্কুলের পাশের খালটি নীচে ধানি জমি নেমে যাওয়ায় একটু বৃষ্টি হলে ধানি জমি ডুবে পায়ে চলাচলের রাস্তাটিও পানির নীচে তলিয়ে যায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে পায়ে চলাচলের ধানি জমি টুকু ডুবে যেন নদীতে পরিনিত হয় তখন মনে হয় স্কুলটি যেন নদীতে ভাসছে।
স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলে যেতে কাপড় চোপড় ভিজে গেলেও বই বাঁচিয়ে ধানী জমি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয় তাদের। আবার যখন পানি বেশি হয় তখন অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. চুন্নু মিয়া বলেন, স্কুলটি খনকারি পাড়া আঞ্চলিক পাকা সড়ক থেকে স্কুলটি মাত্র ১০০ গজ দূরে অবস্থিত হলেও শিক্ষার্থীদের রাস্তার সাথে সংযুক্ত কয়েকজনের ধানী জমি পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে কয়েকবার চেষ্টা করলেও জমির মালিকদের রাস্তার ব্যপারে এক করতে না পারায় রাস্তাটি করা সম্ভব হয়নি।বৃষ্টির মৌসুমে ওই ধানি জমি পানিতে তলিয়ে গেলে পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা পেলে রাস্তাটি করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা নাথ বলেন, আমি বৎসর খানেক হলো এই স্কুলে এসেছি এর আগের প্রধান শিক্ষকও রাস্তাটি করার জন্য চেষ্টা করেছে। আমি রাস্তাটি করার জন্য স্থানীয় মেয়র মহোদয়ের মাধ্যমে স্থানীয় জমির মালিকদের নিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হতে পারিনি। একটি রাস্তা না থাকায় বর্ষার সময় শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষকদের সীমাহীন কষ্ট করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর মোঃ কবির মিয়া বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আমিও আমার পৌর মেয়র মহোদয় সহ বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও জমির মালিকদের অসহযোগিতার জন্য এই রাস্তাটি করতে পারিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তার বিষয়টি আমাদের না। আমি রাস্তার ব্যাপারে স্থানীয় ওর্য়াড কাউন্সিলর ও মেয়রের মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তাটি করতে বলা হয়েছে। এব্যাপারে আমি প্রধান শিক্ষককে সার্বিক সহযোগিতা করবো।