প্রতিবছর ৫ হাজার শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে – খুকৃবি উপাচার্য

13
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খানের সাফল্য ও সমৃদ্ধি অগ্রযাত্রার ২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন সংবর্ধিত অতিথি প্রফেসর ড. মো: শহীদুর রহমান খান।

দেশের পঞ্চম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রহমান খানের দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপাচার্য জানিয়েছেন প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন করণের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে’। শুক্রবার সকাল ১০ টায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যা¤পাস প্রাঙ্গণে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেক কেটে ও বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান। সকাল সাড়ে ১০টায় ফিতা কেটে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া সকাল ১১টায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। যার ফলে করোনা কালীন সময়ে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সকাল সাড়ে ১১টায় উপাচার্যের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আরিফুর রহমান, গীতা পাঠ করেন তপতী রায় এবং দোয়া পরিচালনা করেন ফিজিওলজি বিভাগের শিক্ষক কাজী খালিদ ইবনে খলিল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পশুপুষ্টি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ তসলিম হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্যের সহধর্মিনী ড. ফেরদৌসী বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ আশিকুল আলম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফিজিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, গত দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে স¤পন্ন করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্যোগে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষিশিক্ষা ও কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক কৃষিশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার একটি সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প পাস হয়েছে। যার মাধ্যমে ১ হাজার ৫শ’ একর ভূমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী মাস্টার প্লান প্রণয়ন এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (ডিপিপি) তৈরিসহ প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে’। এছাড়া তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩,১৬৮ জন জনবল সম্বলিত একটি অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা প্রদান করা হয়েছে। অর্গানোগ্রামটি অনুমোদিত হলে সাতটি অনুষদে ৫৩টি বিভাগে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে’। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ও আবাসন সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরন্যায় নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি হলো শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি জটিলতার কারণে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় সংবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স¤পন্ন করা হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত সকল নিয়োগ স¤পন্ন করা হবে। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সার্বিক অগ্রগতির জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সকল সদস্য, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউজিসি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি ভাইস চ্যান্সেলর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বিজ্ঞপ্তি