দোয়ারাবাজারের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তালাবদ্ধ, গবাদিপশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের আশ্রয়

19
দোয়ারাবাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা।

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। খোদ উপজেলা প্রশাসনের সন্নিকটে অবস্থিত বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দিকে যেন কারোরই নজর নেই। দিনের পর দিন তালাবদ্ধ থাকায় ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহিতারা বিরক্ত হয়ে এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সরকারি এই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি এখন গবাদিপশু ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের নিরাপদ আশ্রয় স্থলে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে আছেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সফিকুল ইসলাম সফিক। সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত অফিস করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পুরো সপ্তাহ জুড়েই থাকে তালাবদ্ধ।
স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবা গ্রহিতাদের অভিযোগ, যোগদানের পর থেকেই সময়মতো কর্মস্থলে আসছেন না ডাঃ সফিক। কর্মস্থল তালাবদ্ধ রেখে ডিউটির সময় অন্যত্র একটি প্রাইভেট ডায়গনস্টিক হাসপাতালে সময় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার দুপুর বারোটায় সরেজমিনে বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান প্রায় দুসপ্তাহ ধরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মোবাইলে কল দিয়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সফিকুল ইসলাম সফিককে পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র তালাবদ্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেকমো সফিকুল ইসলাম সফিক গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনদিনের ছুটিতে গেছেন এজন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সবসময় বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা থাকে।