গ্রীসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওসমানীনগরের আক্তারের লাশ এক মাস পর দেশে এলো

7

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় দেড় বছর আগে পরিবারের আর্থিক উন্নতির আশায় প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলেন ওসমানীনগরের তাজপুর ইউনিয়নের রঙ্গীয়া গ্রামের মনোহর আলী ওরফে মনু মিয়ার ছেলে আক্তার আহমদ (৩০)। প্রথমে দুবায়ে কিছুদিন থাকার পর পরবর্তীতে আরও উন্নতির আশায় দুবাই থেকে ইউরোপে যাওয়ার সপ্ন দেখেন। এক সময় দালালের মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে তুরস্ক হয়ে গ্রীসে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন। গত ৫ আগষ্ট গ্রীসের আলেকজান্দ্রো পোলিস শহরের কাছাকাছি আর্দানিও এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ একমাস পর রবিবার রাতে তার মরদেহ বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। পড়ে উপজেলার রঙ্গীয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আক্তারের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮ ভাই-বোনের মধ্যে আক্তার দ্বিতীয়। পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে ইউরোপের যেকোনো দেশের নাগরিকত্ব লাভের স্বপ্ন ছিল তার দীর্ঘদিনের। কিন্তু সরাসরি ইউরোপ যাওয়ার কোনো সুযোগ না পেয়ে গতবছরের মার্চ মাসে ভিজিট ভিসা নিয়ে প্রথমে দুবাই যান আক্তার। সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে ইরানে গিয়ে কিছুদিন অবস্থান করেন। তারপর তুরস্ক গেলে ওই দেশে অবস্থানরত সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের রুহুল আমিন নামের এক দালালের সঙ্গে আড়াই লাখ টাকায় গ্রীসে যাওয়ার জন্য চুক্তি হয় তার। চুক্তি অনুযায়ী আক্তার আহমদসহ আরও ১১ জনকে ৪ দিন ৪ রাত পায়ে হাঁটিয়ে বর্ডার পার করিয়ে তাদেরকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে দেয় দালাল রুহুল আমিন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী কারটি দুর্ঘটনার শিকার হলে চালকসহ ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হন।
আক্তারের ছোট ভাই আবদাল আহমদ বলেন, ‘বড় স্বপ্ন নিয়ে গাড়ি ও জায়গা বিক্রি করে ভাইকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। আমাদের স্বপ্ন আজ কান্নায় পরিণত হয়েছে।