গোলাপগঞ্জে আগুনে পুড়ানো হলো ট্রাক্টার, থানায় অভিযোগ

28

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে জমি হালচাষ না করায় আগুন দিয়ে একটি ট্রাক্টর পুড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের বড়লেখার উজিরপুর গ্রামের মৃত তৈমুছ আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ (ট্রাক্টরের মালিক) গোলাপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। গোলাপগঞ্জের সুপাটেক গ্রামের নানু মিয়ার দুই ছেলে আফজাল হুসেন (২৫) ও রয়েল আহমদ (৩০) এবং বড়লেখা উপজেলার বর্ণি উজিরপুরের মৃত তৈমুছ আলীর ছেলে আব্দুশ শহীদ (৫০) কে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়।
গোলাপগঞ্জ থানার আনন্দপুর গ্রামে ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিন বাড়ীর পূর্ব দক্ষিণ কোনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় কয়েকজন মিলে হালের ট্রাক্টর টি পুড়িয়ে দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের বড়লেখার উজিরপুরের সইব আলীর ছেলে আব্দুল কালাম এবং গোলাপগঞ্জ থানার রাংজিয়ল গ্রামের সুকেশ বিশ্বাসের ছেলে সুবাস বিশ্বাস উভয়ই ট্রাক্টর চালক এবং তারা মিলিত ভাবে ট্রাক্টর চালান। অভিযোগে বলা হয়, দুজন চালক গোলাপগঞ্জ থানার আনন্দপুরের বিভিন্ন মানুষের জমি হালচাষ করে থাকেন।
গত ২৮ আগষ্ট বিবাদীদের কিছু জমি হাল চাষ করা হয়। হালচাষের প্রাপ্ত টাকা বাকি রাখে। ঘটনার আগের দিন একইভাবে জমি হালচাষ করে দেওয়া হলে আবারো বকেয়া রাখে। টাকা না দেওয়ায় চালক আব্দুল কালাম বিবাদী আফজল হুসেন কে বলেন, হালচাষ করলে নগদ টাকা এবং বাকি টাকাও পরিশোধ করতে। চালক তাদের জমি হাল চাষ করে না দেওয়ায় হুমকি দেয়। প্রতিদিনের মতো চালক ৩ সেপ্টেম্বর হালচাষ শেষ করে রাত আনুমানিক ৮টায় আনন্দপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মঈন উদ্দিনের বাড়ির পূর্ব দক্ষিণ কোনায় পুকুর পাড়ে ট্রাক্টর রেখে নিজ বাড়িতে চলে যান।
৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টায় চালক সুবাস বিশ্বাস ট্রাক্টর বের করতে এসে দেখতে পান ট্রাক্টরটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আনন্দপুর গ্রামের ছাদেক আহমদ জানান, রাত আনুমানিক ২টায় ট্রাক্টর সংলগ্ন এলাকায় তিনি জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় ৪জন লোক এসে ট্রাক্টর আগুন ধরিয়ে পূর্ব দিকে চলে যায়। ট্রাক্টরের মালিক এবং চালকের সন্দেহ পূর্ব বিরোধের আক্রোশে বিবাদীরা আগুন জ্বালিয়ে ট্রাক্টরটি পুড়িয়ে দেয়।
ট্রাক্টরের মালিক আব্দুল হামিদ কান্না জরিত কন্ঠে বলেন, মাত্র ২ মাস হয়েছে আমি ট্রাক্টরটি নামিয়েছি। এখন আমার ট্রাক্টার পুড়িয়ে আমাকে পথে বসিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ থানার এস আই কামরুল হোসাইন বলেন, এই অভিযোগটি তদন্তাধিন রয়েছে। তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।