‘সুতাং সেতু দিয়ে গাড়ি উঠলেই কেঁপে উঠে’

14

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুতাং বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুতাং সেতুটি বেশ কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই হাচলাচল করছে যানবাহান ও মানুষজন। প্রতিদিন লেগুনা, মাইক্রো, সিএনজি, টমটম, কখনো কখনো ভারি যানসহ শতশত যান এই সেতুটি দিয়ে যাওয়া আসা করে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মেয়াদউত্তীর্ণ এই সেতুটিতে কোন গাড়ি উঠলেই কেজপে উঠে। প্রতিবছরই সেতুটির র্পূব অংশ ধেবে গিয়ে নদীতে মিশে যাচ্ছে। কোনরকমভাবে বালুর বস্তা দিয়ে ভরাট করে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে নদীর পাড়।
এদিকে সেতুর রেলিংগুলোও ভেঙে গেছে, মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। যেকোন সময় সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিদিন আশপাশের প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের হাজারো লোকজন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শত শত যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
গত ২-৩ বছর ধরে সেতু দিয়ে কেবল মাত্র হালকা যানবাহন চলাচল করছে। কিছুদিন আগে পুরাতন সেতুটি ভেঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণ করার জন্য টেন্ডার আহবান করে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। ঠিকাদার পুরাতন সেতুটি ভাঙার জন্য ওই ব্রিজের পাশেই বিকল্প সড়ক ও সেতু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল প্রবল বৃষ্টিতে বিকল্প সড়ক ও সেতুটি নদীতে তলিয়ে গেছে। এখনো এটি আর মেরামত করা হয়নি।
সুতাং বাজারের ব্যবসায়ী এম এ মামুন আহমেদ জানান, আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি দিয়ে চলাচল করি। যখন ব্রিজের মধ্যে গাড়ি ওঠে, তখন অনেক সময় সেটি কেঁপে ওঠে। যাত্রীরা অনেক সময় ভয়ে গাড়িতে উঠতে চায় না।
একই গ্রামের সমাজকর্মী গোলাম সারোয়ার উদ্দিন বাবলু জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আগে দেখলাম সেতুটিকে কিছু লোক কাজ করছিল। পরে খোজ নিয়ে জানা যায়, নতুন করে নির্মিত করা হবে সেতু। কিন্তু এই বাজারের হাজার হাজার মানুষের আসা যাওয়ার জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করে সেতুটি অতিসত্বর পুর্ণনির্মাণ করার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া বলেন, বিষয়টি এলজিইডির অধীনে রয়েছে। সেতুটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ -সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দাশ বলেন, সুতাং নদীর উপর সেতুর টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। করোনা ও বর্ষার কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারেনি। খুব শীঘ্রই এই সেতুর কাজ শুরু করা হবে।
তার আগে মানুষকে সচেতন করার জন্য ব্রিজের কাছে ঝুঁকির্পুণ সেতুর সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। (খবর সংবাদদাতার)