সব দিকে নজর রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি – প্রধানমন্ত্রী

16
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের সেনা সদর, নৌবাহিনী সদর দপ্তর এবং বিমান বাহিনী সদর দপ্তর প্রান্তে যুক্ত হয়ে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ ২০২০ (১ম পর্ব) এর সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী যারা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাদের সন্মানটা বজায় রেখেই তারা যেন আমাদের সেই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। সব দিকে নজর রেখে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি এবং সেই ধরনের ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। সেই সাথে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছি যাতে সব ধরনের ট্রেনিংটা আমাদের সকলে পায়। আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন একটা সশস্ত্র বাহিনী আমরা গড়ে তুলতে চাই। আর সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী তারাই যেন দায়িত্ব পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা দায়িত্ব পেলে ভবিষ্যতে দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
সোমবার সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২০ উপলক্ষে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু খাতা কলমেই বেশি নম্বর পাওয়া না, যারা ফিল্ডে ভাল কাজ করতে পারে, কমান্ড করতে পারে, নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা আছে কি না, বা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবার মতো ক্ষমতা আছে কি না সেই মানসিকতা আছে কিনা সেগুলো আপনাদের বিচারে আনতে হবে।
তিনি বলেন, এই দেশ স্বাধীন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বে যারা বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী নিশ্চয়ই তাদের সেই আদর্শ নিয়েই চলতে হবে। দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী হবে তারাই যেন দায়িত্ব পায়। যাতে সঠিক পথে বাংলাদেশেটাকে তারা ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচন পর্ষদ, এই নির্বাচন পর্ষদে ভবিষ্যতে যারা প্রমোশন পাবে তাদেরকে আপনারা নির্বাচিত করবেন। বর্তমানে যেমন সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ট্রেস ট্যাবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কমপারেটিভ ইভালুয়েশন এর মাধ্যমে আপনারা কারা প্রমোশন পাওয়ার উপযুক্ত সেই দক্ষতা কার কতটুকু আছে তার তুলনামূলক মূল্যায়ন করে আপনারা সিদ্ধান্ত নেন। সেই সাথে সাথে সে সকল অফিসার সামরিক জীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদেরকে আপনারা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। সেটা আমি চাই। আর যে কোন একজন অফিসার বা কর্মকর্তা তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের পেশাগত মান, তাদের যোগ্যতা সম্পন্ন এবং তাদের দক্ষতা এটা বিবেচ্য বিষয় হবে সেটা অগ্রাধিকার আপনারা দেবেন।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী। এই সুশৃঙ্খল বাহিনীতে যারা পদোন্নতি পাবে তারা সব সময় একটা শৃঙ্খলা রক্ষা করতে চলতে পারে। কারণ শৃঙ্খলাটাই হচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটা মেরুদন্ড হিসেবে কাজ করে। কাজেই শৃঙ্খলা সম্পর্কে যারা যথেষ্ট সচেতন, অনুগত, তারা যেন উপরে যারা থাকবে তাদের প্রতি অনুগত থাকবে, আবার অধনস্তনদের ব্যাপারে দায়িত্ববান হবে।