গ্রেফতারকৃত মূল আসামীর স্বীকারোক্তি ॥ গোয়াইনঘাটে টমটমের ব্যাটারির জন্য খুন করা হয় চালক শাহীনকে

8
গোয়াইনঘাটে টমটম চালক কিশোরকে হত্যার দায়ে আটক আবুল বাশার আবুল বশর।

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটের গুরকচি এলাকায় টমটম চালক কিশোর শাহিন আহমদকে নৃশংস খুনের ঘটনার মূল হোতা আবুল বাশার আবুল বশর (৩২) কে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বশর গোয়াইনঘাট থানার গুরুকচি পূর্বপাড়া সাকিনের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করলে সে খুনের সাথে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় আসামী বশর কে সিলেট শহরের পাঠানটুলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সে (আসামি) শাহিন খুনের কথা অকপটে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ আগষ্ট রাত দশটার পর থেকে গোয়াইনঘাট থানাধীন নিয়াগুল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে টমটম চালক শাহিন আহমদ (১৪) টমটম চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ৩১ আগষ্ট ভোরে গুরুকচি বাজার সংলগ্ন কাটাখাল নামক ব্রিজের নীচে তার লাশ পাওয়া যায়। এ রকম নৃশংস ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটন সহ ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশ, ডিবিসহ জেলার একাদিক টিম কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় মৃতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এক পর্যায়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ এর নেতৃত্বে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত মূল হোতা বশর কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামী বশর খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয়।
পুলিশ জানায়, টমটম গাড়ির ব্যাটারি চুরি করার উদ্দেশ্যেই শাহিন কে আসামী বশরসহ তার সহযোগীরা খুন করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ আগস্ট সন্ধার পরে আসামী বশরসহ তার সহযোগীরা গোয়াইনঘাট থানাধীন গরুকচি বাজার থেকে বঙ্গবীর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিকটিম শাহিনের টমটম গাড়ি ভাড়া নেয়।পরে কিছুদূর যাওয়ার পর নির্জন স্থানে পস্রাবের কথা বলে আসামীরা টমটম থামাতে বলে এবং নাইলনের রশি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে শাহীনকে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়। পরে টমটম থেকে চারটি ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়।