গোয়াইনঘাটে বিয়ের প্রলোভনে বিধবাকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

74

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
গোয়াইনঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিধবা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গত ৬ মাস ধরে ওই নারীকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিল মো. আব্দুল্লাহ (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। আব্দুল্লাহ উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ গ্রামের মো. আব্দুর রবের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুল্লাহকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
থানায় দায়ের করা ওই নারীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭ বছর আগে দুটি সন্তান রেখে তার স্বামী মারা যান। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আর কোথাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
কিন্তু হঠাত করে গত ৬-৭ মাস পূর্বে একই গ্রামের আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় তার। এরপর থেকে আব্দুল্লাহ প্রায় নিয়মিত বিধবা ওই নারীর বাড়িতে যাতায়ত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুজনের মাঝে বেশ সখ্যতাও গড়ে উঠে।
এ সুযোগে আব্দুল্লাহ বিধবা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করতে থাকে।
একটা সময় স্থানীয় এলাকার লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে যান। এতে করে বিধবা ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে আব্দুল্লাহ নানা তালবাহানা শুরু করে। তখন কোন উপায়ান্তর না দেখে ধর্ষণের শিকার ওই নারী স্থানীয় মুরব্বিদের দারস্থ হন।
পরে স্থানীয় এলাকার মুরব্বিরা গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেন। সালিশ বৈঠকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করলেও ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় আব্দুল্লাহ। এতে করে বিষয়টির কোন সুরাহা না পেয়ে ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এরই আলোকে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ এবং ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী থানা হেফাজতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।