ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে – ওবায়দুল কাদের

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত, অনাকাক্সিক্ষত এবং খুবই দুঃখজনক। তাঁর সুচিকিৎসায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত চিকিৎসকদের মধ্যে চিকিৎসাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকায় তাঁর সরকারী বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউএনওর সুচিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। অপরাধী যেই হোক প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সারাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার।
বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এখানে কোন রাজনৈতিক চাপের কোন বিষয় নেই। তাঁর বয়সের কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এর আগেও তাঁর চিকিৎসার দিক বিবেচনা করে মানবিক কারণে মুক্তি দেয়া হয়েছে ৬ মাসের জন্য। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর চিকিৎসা ভালভাবে করা যায়নি। সেটা বিবেচনা করে তাঁর সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। এখানে রাজনৈতিক চাপের কোন বিষয় নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখেরও বেশি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ১১ কোটির বেশি নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তবে করোনা মহামারী তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বর্তমানে সচেতনতার দিক থেকে গা ছাড়াভাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার গত কিছুদিনে কমে এলেও এ ভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে- এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের শহরে বন্দরে মার্কেটে রাস্তায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মনে হয় না, কেউ করোনাকে পাত্তা দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা নিজেরাই নিজেদের সেইফটি নষ্ট করছি এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দুয়ার খুলে দিয়েছি। কাজেই সবাইকে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা।
এসময় দলের মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শাহানারা আকতার রহমান, প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ আতিকুর রহমান, উপ-কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, আখলাকুর রহমান মাইনু, প্রফেসর কামরুজ্জামান, ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মাতাব্বুর আমিনুল, ডাঃ শেখ ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।