কুলাউড়ায় চা বাগান এলাকা থেকে ৯ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ

8

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল চা বাগান এলাকা থেকে গত ৯ দিন ধরে আলী আহমদ (২০) নামে এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় আলী আহমদের মামা হাফিজ মো. আব্দুল আহাদ কুলাউড়া থানায় গত ২৭ আগষ্ট একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়েরী ও আলী আহমদের স্বজন সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে জালালপুর ইউনিয়নের আলমদিন গ্রামের বাসিন্দা আলী আহমদ এক বছর আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল চা বাগান এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা চহন কর্মকার ও মিন্টু পালের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে বাগান লিজ এনে ব্যবসা শুরু করে। সেই সুবাদে চহন কর্মকার ও মিন্টু পালের বাড়িতে থাকতেন আলী আহমদ। গত ২৬ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে আলী তার মামা হাফিজ মো. আব্দুল আহাদকে মোবাইলে কল করে জানায় সে বাড়ি ফিরছে। কিন্তু বিকেল হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নাম্বারে কল দিলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কুলাউড়ার বরমচালে চহন কর্মকার ও মিন্টু পালের বাড়িতে এসেও সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ যুবক আলী আহমদের মামা হাফিজ মো. আব্দুল আহাদ জানান, ‘আমার ভগ্নিপতি আরা মিয়া মারা যাওয়া পর থেকে আমার বোন ও তার ছেলে আলী আহমদ আমার বাড়িতে থাকতেন। বছর খানেক আগে কুলাউড়ার বরমচালে একটি বাগান লিজ নিয়ে স্থানীয় চহন কর্মকার ও মিন্টু পালের সাথে পার্টনারশীপে ব্যবসা করবে বলে আলী আহমদ আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে আসে। এরপর সেখানেই চহনদের সাথে থাকতো সে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে যেতো। ২৬ আগস্ট সকালে তাঁর মায়ের মোবাইলে কল দিয়ে সে জানায় বাড়িতে আসতেছে। কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি। ওই দিন থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাচ্ছি। চহন এবং মিন্টুকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানায় সে তাঁদেরকে না ওইদিন না বলে আলী বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আমার বোন পাগল প্রায়। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দেখলে আমার ভাগ্না নিখোঁজের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা যাবে।’
জিডি তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকমর্তা কুলাউড়া থানার এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আলী আহমদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে বরমচাল এলাকায় সে অবস্থান করছে দেখা যায়। পরে সে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।