দারুণ জয়ে সিরিজ বাঁচাল পাকিস্তান

4
Pakistan's Wahab Riaz (2R) celebrates dismissing England's Moeen Ali (L) during the international Twenty20 cricket match between England and Pakistan at Old Trafford cricket ground in Manchester, north-west England, on September 1, 2020. (Photo by Mike Hewitt / POOL / AFP) / RESTRICTED TO EDITORIAL USE. NO ASSOCIATION WITH DIRECT COMPETITOR OF SPONSOR, PARTNER, OR SUPPLIER OF THE ECB (Photo by MIKE HEWITT/POOL/AFP via Getty Images)

স্পোর্টস ডেস্ক :
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করেছে পাকিস্তান। প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে জেতে ওয়েন মর্গ্যানের দল। তবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৫ রানের দারুণ জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ম্যানচেস্টারে সিরিজের শেষ ম্যাচে মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে বাবর আজমের দল। জবাবে মঈন আলীর দানবীয় ইনিংস সত্ত্বেও ৮ উইকেটে ১৮৫ রান করে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ওভারে মইনের স্টাম্প সোজা বলে বোল্ড হয়ে যান ফখর জামান। তিন চারে ২১ রান করা বাবরকেও বোল্ড করে থামান টম কারান। ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারানো পাকিস্তান এগিয়ে যায় ক্যারিয়ারের দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায়।
১৯ বছর বয়সী হায়দার আলির সঙ্গে শতরানের জুটি উপহার দেন ৩৯ বছর বয়সী হাফিজ। ক্রিজে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকানো হায়দার টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে করেন ফিফটি। ৩৩ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৫৪ রান করা এই তরুণের বিদায়ে ভাঙে ১০০ রানের জুটি। টানা দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া হাফিজ দলকে নিয়ে যান দুইশ রানের কাছে।
এদিনও খেলেছেন দারুণ সব পুল ও স্ট্রেইট ড্রাইভ। ৫২ বলে ছয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই সংস্করণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিযে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন জর্ডান। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন মঈন ও কারেন।
১৯১ রান ও সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান জমা করতেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। ওপেনার ও উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে শূন্য হাতে সাজঘরে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। পরে দলীয় ২৬ রানে ফেরেন ডেভিড মালান (৭)। দলকে চাপে রেখে দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান (১০)। দলের রান তখন ৬৫। স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ৪ রান যোগ হতেই রউফের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ওপেনার টম বার্টন (৪৬)।
সেখান থেকেই ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন মঈন। স্যাম বিলিংসকে (২৬) নিয়ে এগোতে থাকেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। কিন্তু সতীর্থদের সঙ্গে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি তিনি। লুইস গ্রেগরি (১২), জর্ডান (১) দ্রুত বিদায় নিলে একাই লড়ে যান মঈন। ওয়াহাব রিয়াজের করা ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪ চার ও ৪ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইংলিশদের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। কারেন ও আদিল রশিদ চেষ্টার কমতি করেননি। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কারেনের ছক্কায় জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু শেষ বলে রউফের বল বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি তিনি।
২৬ রানে ২ উইকেট নেন ওয়াহাব। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করা আফ্রিদি ২ উইকেট নেন ২৮ রানে। টানা দুই ফিফটি পাওয়া হাফিজ জেতেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ৩য় টি-টোয়েন্টি
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৯০/৪ (হাফিজ ৮৬*, হায়দার ৫৪; জর্ডান ২/২৯)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৮৫/৮ (মঈন ৬১, ব্যান্টন ৪৬; ওয়াহাব ২/২৬)
ফল: পাকিস্তান ৫ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজ ১-১ এ সমতা