দিরাইয়ের তাড়ল ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান

13

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি দিয়েছেন ইউনিয়নবাসী। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ভিজিডি কার্ডের জমাকৃত প্রায় ৫ লাখ টাকা চেয়ারম্যান ব্যাংকে জমা না দিয়ে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে একক ইচ্ছায় আত্মসাত করেছেন। করোনা মহামারী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অনুদান সঠিকভাবে বণ্টন না করে আত্মসাৎ করেন। চেয়ারম্যান পৌরসদরের নিজ বাসায় বসে অফিস করেন যার ফলে সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন, উত্তারাধিকারী সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ৫শ/ এক হাজার টাকা নিয়ে থাকেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর হতে অদ্যবধি পর্যন্ত পরিষদেও ট্যাক্স, জন্ম নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কর ইত্যাদি হতে আদায়কৃত অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ হতে ওয়ার্ড সদস্যগণের প্রাপ্য সম্মানী ভাতা না দিয়ে এবং ওয়ার্ড সভার টাকাও সদস্যদের না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে আত্মসাৎ করেন। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছর হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন কাবিখা ও কর্মসংস্থান কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে একজন সদস্য দ্বারা বারবার প্রকল্প কাজ করাচ্ছেন। বিগত ২০১৭ সালের পহেলা জুলাই ভিজিএফ এর ৩০ বস্তা চাউল আত্মসাৎ করেন, যা তদারকি কর্মকর্তার তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস টেলিফোন বাজারের রাস্তা উন্নয়নের জন্য ইপিজিপি প্রকল্প দিয়ে কাজ করানোর পরও একই জায়গায় আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এলজিএসপির ৪ লাখ ১১ হাজার টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নেন।
সোমবার উপজেলা দিরাই থানা পয়েন্টে দুপুরে তাড়ল ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইউপি সদস্য লাল মিয়ার সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- দিরাই উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক তাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শাফিকুর রহমান চৌধুরী, শেখ ফরিদ, রাশেদ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য কবির মিয়া, সেনু বেগম, খোদেজা বেগম, আছমা বেগম প্রমুখ।