ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পিছিয়েছে

14

স্টাফ রিপোর্টার :
লেখক-ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পিছিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লবের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও তা হয়নি।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিলো। তবে বিচারক অনুপস্থিত থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এছাড়া মঙ্গলবার সাক্ষীরাও অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। তবে আমি তারিখটা জানতে পারিনি। করোনা সংক্রমণের কারণে এখন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবারও অনন্ত হত্যা মামলার আসামিরা হাজির হননি।
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এমাদউল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন জানিয়েছেন, মূলত আসামিরা হাজির না হওয়ায়র মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আসামিরা না আসার কারণেই বিচারক এজলাসে ওঠেননি।
গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশের ভগ্নিপতি এডভোকেট সমর বিজয় শ্রী শেখর জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের হাজির করতে পারছে না। করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই অনেকদিন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে মামলার তারিখ পরলেও সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
এরআগে গত ৮ জুন সিলেটে ভার্চুয়াল আদালতে এই মামলার আসামি আবুল খায়ের রশিদ আহম্মেদ জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এখনও বাকি আছে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেটে খুন হন লেখকও ব্যাংকার অনন্ত বিজয় দাশ। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অনন্ত বিজয় দাশকে নগরীর বনকলাপাড়ার নূরানী আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সুবিদবাজারের রবীন্দ্র কুমার দাশ ও পীযূষ রানী দাশের দুই মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে অনন্ত ছিলেন সবার ছোট। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিষয়ে মাস্টার্স করার পর সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজারে পূবালী ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন তিনি। হত্যাকান্ডের দিনই অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে এতে অভিযোগ করা হয়।