জাতীয় শোক দিবসে দাবি ॥ নেপথ্যের মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হোক

12
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল সঙ্গে ছিলেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এক সময়ের ধানমন্ডি-৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়ি। যার পরিবর্তিত ঠিকানা ১০ নম্বর বাড়ি, রোড নম্বর-১১, ধানমন্ডি, ঢাকা। ঐতিহাসিক এই বাসভবনটি বঙ্গবন্ধু ভবন নামেই সর্বাধিক পরিচিত। বাঙালীর আশ্রয়স্থল, আশা-ভাবনার মূর্ত প্রতীক। অনিবার্য ঠিকানা আর স্বপ্নের গন্তব্য মহল। রাতের শেষ প্রহর তখন আকাশের গায়ে জেগে উঠতে শুরু করেছে। তখন থেকেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটির সামনে আসতে শুরু করে নারী-পুরুষ। সবার হাতে শ্রদ্ধার ফুল। তাদের ভেতর কেউ কেউ নীরবে তাকিয়ে আছে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখের রঙিন প্রতিকৃতির দিকে।
নিয়ন বাতির আলোয় জ্বল জ্বল করছে চশমার ভেতর দিয়ে সে চোখ দু’টো। প্রতিকৃতির সামনের বেদি সকাল হতেই ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে। পেছনে নিস্তব্ধ একটি বাড়ি। যে বাড়ির ভেতর রাখা আছে মোটা ফ্রেমের এ চশমাটি। কারও ব্যবহারের জন্য কোন টেবিলে নয়; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে। করোনার কারণে মানুষের ঢল কিছুটা কম হলেও কৃতজ্ঞ বাঙালিকে এদিন ঘরে রাখা যায়নি। রাজপথের মানুষের প্রাণের স্পন্দনে শনিবার যেন এ প্রতিকৃতির চোখে আলো জ্বলে উঠেছিল।
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। এবারের জাতীয় শোক দিবসে পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের পাশাপাশি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যের মূল কুশীলবদের খুঁজে বের করে মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠেছে সর্বত্র।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দলীয় কর্মসূচী সীমিত আকারে পালন করার কথা থাকলেও বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা হাজার হাজার মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শোক দিবসের প্রতিটি কর্মসূচী পালিত হয়।
৪৫টি বছর পার হয়ে গেলেও মৃত্যুঞ্জয়ী মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে এতটুকু ভোলেনি কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। তার প্রয়াণ দিবসে যেন শোকস্তব্ধ ছিল দেশের সব প্রান্তর। শোকাচ্ছন্ন নীরবতায় থমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর নশ্বর শরীর কেড়ে নিলেও তার অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ যে মৃত্যুঞ্জয়ী, ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি সার্বজনীন শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে প্রতিবছর তারই জানান দেয়। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর চার দশক পরও সমানভাবেই রয়েছেন সমুজ্জ্বল।
শোকার্ত মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার পাশাপাশি ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন ইতিহাসের মহামানব, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে এবং টুঙ্গিপাড়ার মাজারে দিনভর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন জাতির পিতাকে। যার দীর্ঘ সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি মহার্ঘ্য স্বাধীনতা, স্বাধীন-সার্বভৌম মানচিত্র ও পতাকা। হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি খুনী মীরজাফর-বেঈমানদের প্রতি ঘৃণা-ধিক্কারের মাত্রাও ছিল প্রচন্ড।
রাজধানী ছাড়াও সারাদেশে এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলো বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস পালন করে। শোক দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী কোরান তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, কালো ব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শোকর‌্যালি, মিলাদ মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচী, আলোচনাসভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
করোনার কারণে বড় ধরনের জামায়াতের ওপর আগে থেকেই ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবুও শোকার্ত মানুষের ঢল থামানো যায়নি। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ভবনটিকে ঘিরে কাকডাকা ভোর থেকেই শোকার্ত মানুষের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। আজ থেকে পঁয়তাল্লিশ বছর আগে এমনই শেষ রাতে এ বাড়ির সামনে মানুষ নয়, এসেছিল মানুষের রূপধারী একদল পশু। তারা এসেছিল সশস্ত্র অবস্থায়। এখানে এসে তারা হত্যা করেছিল গোলাপের থেকে সুন্দর ও পবিত্র এক শিশুপুত্রকে। তারা হত্যা করেছিল নতুন করে পৃথিবী সাজাতে মেহেদি রাঙা হাতে যে তরুণী নববধূ হয়ে এসেছিল স্বপ্নভরা যুবকের হাত ধরেÑ তাকে মেহেদি শুকানোর আগেই।
আর যে চশমাটি এখন এ বাড়ির জাদুঘরসামগ্রীÑ গুলিতে ছিটকে পড়েছিল সে চশমাটি। তাদের গুলিতে বুক ঝাঝরা হয়ে রক্তাক্ত হন হিমালয়ের চেয়ে বিশাল এক মানুষ। হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে, তাঁর সময়ের তিনি ছিলেন পৃথিবীর সব থেকে উঁচু মানুষ। তিনি আমাদের জাতির জনক। আমাদের রাষ্ট্রের স্রষ্টা। চিরকালের অবহেলিত, নিপীড়িত একটি পশ্চাৎপদ জাতির তিনি পিতা। তাঁকে যারা হত্যা করেছিল তাদের সামনেও তিনি নেমে এসেছিলেন পিতার মতো বিশাল এক বুক নিয়ে। নির্মম ঘাতকরা সে বুকেই চালিয়েছিল গুলি।
তারপর ৪৫ বছর কেটে গেছে এ জাতির জীবন থেকে। জাতি কেবলই পরিচিত হয়েছে পিতৃহন্তা জাতি হিসেবে, বিশ্বাসঘাতক হিসেবে। কয়েক খুনী আর ষড়যন্ত্রকারীর কাজের দায় বহন করতে হয়েছে প্রতিমুহূর্তে, প্রতিক্ষণে জাতিকে। কিন্তু শনিবার ভোর থেকেই এখানে যারা এসেছিল তারা অনেকটাই ভারমুক্ত। তাদের মুখের ভাষা, বুকের ভাষা বারবার বলতে থাকে, পিতা তোমার হত্যাকারীকে আমরা ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়েছি। আমরা কিছুটা হলেও পাপমোচন করেছি। ইতিহাসের চরম সত্যকে প্রকাশ ঘটিয়ে তাই তারা যেন জানিয়ে যায়Ñ খুনীরা এসেছিল তস্করের মতো আর আমরা এসেছি বিজয়ী বেশে। তারা তোমার এ বাড়ির সামনে এসেছিল রাতের অন্ধকারকে আরও গাঢ় করতে, আমরা এসেছি নতুন দিনের সূর্যকে আহ্বান জানাতে।
তাই শনিবার শ্রদ্ধাবনতচিত্তে জাতি স্মরণ করেছে ইতিহাসের মহামানব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। সবার বুকে ছিল শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ। আর চোখেমুখে শোকের ছায়া। দিনভর আবালবৃদ্ধবনিতার ভিড় ঘিরে রেখেছিল সবুজ ছায়াঘেরা বঙ্গবন্ধু ভবন আর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকাটিকে। করোনার ভয় দমাতে পারেনি জনতার আবেগ-হৃদয়ের গভীরে বিঁধে থাকা শোকের সমুদ্রকে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনেই শ্রদ্ধা নিবেদনসহ অন্যান্য কর্মসূচী পালন করতে দেখা গেছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার ভোরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দলের ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে রাজধানীর ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধ নিবেদন করেন। প্রতিকৃতির বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মেয়ে বিশ্ব অটিজম আন্দোলনের অগ্রপথিক সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) যান এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে তার মা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ সেদিনের ঘটনায় নিহত পরিবারের অন্য সদস্যদের সমাহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে নিয়ে কবরগুলোতে ফুলের পাঁপড়ি ছড়িয়ে দেন। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়ায় শরিক হন।
প্রতিবছরের মতো এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে টুঙ্গিপাড়ায় যেতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করে। বেজে ওঠে বিউগলে করুণ সুর। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এরপর মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি নীরবে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এরপর ডেপুটি স্পীকার এডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ সময় বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতাই উপস্থিত ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
মুক্তিযোদ্ধাদের শোক মিছিল : সকাল ৯টায় মানিক মিয়া এভিনিউর কর্নার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে জাতীয় পতাকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা, কালো পতাকা অর্ধনমিত করে শোক মিছিল বের করেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রায় এক হাজার মুক্তিযোদ্ধার মিছিলটি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সালাম জানায়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুল হাই, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শরীফউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতিক প্রমুখ।
জাতীয় শোক দিবস স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও রোডে রিহ্যাবের প্রধান কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে দেড় হাজার মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।