বিশ্বনাথে গণফোরামের কমিটি স্থগিত, নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

4

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা ও গত সোমবার (১০ আগষ্ট) উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় যোগদানের পথিমধ্যে সিলেট-২ আসনের এমপি গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার পরও প্রতিবাদ না জানিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা গণফোরামের আহবায়ক কমিটি। এমপির গাড়িতে হামলার জের ধরে কমিটি স্থগিত করায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বুধবার দুপুরে জেলা গণফোরামের আহবায়ক এডভোকেট আনসার খান স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে দেওয়া একটি পোস্টের মাধ্যমে বিশ্বনাথ উপজেলা গণফোরামের আহবায়ক কমিটি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। পরর্বর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দলের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং এ সময় কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দ দলের কোন পদ-পদবী ব্যবহার না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা গণফোরামের আহবায়ক কমিটি স্থগিত ঘোষণা করার সত্যতা স্বীকার করে জেলা গণফোরামের আহবায়ক আনছার খান বলেন, ‘গত ১০ আগষ্ট বিশ্বনাথে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় যোগদানের পথিমধ্যে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার ঘটনায় কোন প্রতিবাদ করেনি ওই কমিটি। এছাড়াও তারা নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে উপজেলার ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠন করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য এ আহবায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।’
কমিটি স্থগিতের ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা গণফোরামের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন কোন মন্তব্য না করলেও কমিটির সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম শামীম তাদের কমিটির উপর আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এমপি সাহেব আমাদের এই কমিটিকে সব সময়ই অস্বীকার করে আসছেন। তাই তিনি আমাদেরকে কোন কিছু না জানিয়েই বিশ্বনাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসেন এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রোগ্রাম করেন। এভাবে গত ১০ আগস্ট বিশ^নাথ উপজেলা মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় যোগ দিতে গেলেও আমাদের কমিটিকে অবহিত করেন নি। উল্টো হামলার দিন এমপি আমার বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে তল্লাশি করিয়েছেন।’
এমপির গাড়িতে হামলার ঘটনাটি নিন্দনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর উপজেলা গণফোরামের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর তারা উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছেন এবং এমপির নির্দেশে অবশিষ্ট ইউনিয়নগুলোতে কমিটি গঠনের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। তা না হলে এতো দিনে সেগুলোরও কমিটি গঠন করা সম্পন্ন হয়ে যেতো।