কোন স্কুল বেআইনি ফি নিতে পারবে না – জেলা প্রশাসক

11

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, করোনা সংকটে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আমাদেরকে আরো মানবিক হতে হবে। হাইকোর্টের রায় মেনে সকলকে স্কুল পরিচালনা করতে হবে। রায়ের নির্দেশনা লংঘন করে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে রিএডমিশন বা অন্য নামে কোন স্কুল বেআইনি ফি নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, বেআইনি ফির জন্য কোন শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসের বাইরে রাখা যাবে না। একটি শিশুও যেন ঝরে না পড়ে সেদিকে স্কুলগুলোকে খেয়াল রাখতে হবে। বুধবার ( ১২ আগষ্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে সিলেট ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অভিভাবক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
এ সময় এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, রাইজ, ইউরো কিডস, বিবিআইএসসি, গ্রামার, খাজাঞ্চিবাড়ি, স্কলার্সহোম সহ কয়েকটি স্কুল হাইকোর্টের রায় লংঘন করে বিভিন্ন নামে বেআইনি ভাবে রিএডমিশনের টাকা নিচ্ছে। করোনা সংকটে সকল স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ৫০% মওকুফ সহ শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে আনতে তারা কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন। আনন্দনিকেতন হাইকোর্টের রায় মেনে ও অভিভাবক এসোসিয়েশনের দাবীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে রিএডমিশন ফি নিচেছনা বলে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। এ জন্য তারা আনন্দনিকেতন স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মতবিনিময় শেষে জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের বরাবরে অভিভাবক এসোসিয়েশনে সভাপতি মাহবুব চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি সাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মতবিনিময়ে অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্যানেল মেয়র, আনন্দ নিকেতনের অভিভাবক কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, অভিভাবক এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, রাইজ স্কুলের অভিভাবক এড কুতুবউদ্দিন, বিবিআইএসসির অভিভাবক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।