৭ আগষ্ট সিলেট নগর আওয়ামীলীগের উপর হামলার দিবসে ভার্চুয়াল সভা ॥ ক্ষমতা আজীবনের জন্য কুক্ষিগত করতে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের মদদে এ হামলা চালিয়েছিল

11
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উপর গ্রেনেড হামলার দিবসে ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

সিলেট নগর আওয়ামীলীগের উপর হামলার দিবসে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ আগষ্ট শুক্রবার বিকেল ৪টায় এই ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট সিলেট তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে সিলেট নগর আওয়ামীলীগের কার্যকরি কমিটির সভা শেষে সন্ধ্যার পর নেতারা বেরিয়ে আসলে সেখানে অতর্কিতভাবে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে নগর আওয়ামীলীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী নিহত হন। আহত হন নগর কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা ২১ জন নেতা। তারা আজও নিজ দেহে বহণ করে চলেছেন গ্রেনেডের স্লিন্টার। দেশব্যাপী সন্ত্রাস হামলা ও সিলেটের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় হয়েছিল প্রতিবাদ সমাবেশ। ২১ আগষ্টের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সেই সভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের জাতীয় নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। সেই হামলায় আওয়ামীলীগ নেত্রী আইভি রহমান সহ অসংখ্য নেতাকর্মী নিহত ও আহত হয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে সারাদেশে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল এবং বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারার প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ক্ষমতা আজীবনের জন্যে কুক্ষিগত করতেই বিএনপি-জামায়াত জোট নৈরাজ্যজনক সন্ত্রাসবাদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জঙ্গিদের মদদ দিয়ে গিয়েছিল।
ভার্চুয়াল সভায় নেতৃবৃন্দ ২০০৪ সালের ৭ আগষ্টের সিলেটের গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলায় নিহত ইব্রাহিম আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি গ্রেনেড হামলায় নিহত মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইব্রাহিম ও সাবেক মেয়র মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও করোনায় আক্রান্ত মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও তার সহধর্মিনীর সুস্থতা কামনা করা হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি. বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
২০০৪ সালের ৭ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় আহত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট মফুর আলী, তুহিন কুমার দাস, এডভোকেট রাজ উদ্দিন, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, এটিএম হাসান জেবুল, তপন মিত্র, ফাহিম আনোয়ার চৌধুরী, মো. জুবের খান, জামাল আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, প্রদীপ পুরকায়স্থ, আজম খান, আব্দুস সোবহান প্রমুখ।
অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, আজাদুর রহমান আজাদ, এডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী দিপন, সেলিম আহমদ সেলিম, রাহাত তরফদার প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি