নগরী ধূলাবালিতে আবৃত

15

আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত হযরত শাহশাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) এর পুণ্যভূমির রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুবই শোচনীয়। প্রতিটি রাস্তা-ঘাটের অবস্থা দেখলে মনে হয় এ গুলো দেখার কেউ নেই। বৃষ্টির দিনে কাদা-মাটির ছড়াছড়ি, বৃষ্টি না দিলে ধূলা-বালির কারণে নগরীতে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ধূলা-বালির ছড়াছড়িতে সমস্ত নগরী যেন মিনি মরুভূমিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। এমনিতে বিগত বৃষ্টির পানিতে প্রচন্ড জলাবদ্ধতা আর বর্ষার পানিতে ভেসে আসা নানা ধরণের বর্জ্য পদার্থ শুকিয়ে ধূলা-বালির সাথে মিশ্রিত হয়ে নগরীতে দূষিত বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
নগরবাসী বন্যা আর মহামারি করোনা (কোভিট-১৯) এর হাত থেকে বাচাঁর লড়াই করছে, অন্যদিকে মৌসুমী রোগ-ব্যধির হাত থেকে প্রায় যুদ্ধ করে জীবন-অতিবাহিত করতে হচ্ছে। নগরীর রাস্তা-ঘাটের ধূলা-বালির দুরাবস্থার কারণে বায়ু বাহিত রোগ-জীবাণুর ছড়াছড়ি বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে। এ ছাড়া ও দেশ যখন চরম করোনা নামক মহামারীর আতংকে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে, সে মুহূর্তে নগরীর মোড়ে-মোড়ে স্ন্যাকবার থেকে বিভিন্ন খাবার জাতীয় পণ্যে ভাজার বিকট দুর্গন্ধ পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। যা বিবেকবান মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে।
নগরীর প্রতিটি সড়কের সংস্কার কাজ ধীর-গতিতে হওয়ায় বর্ষার সময়কার সব-ধরনের বর্জ্যযুক্ত ময়লা গুলো ধূলি কণায় রূপ নিয়ে বাতাসের সাথে মিশ্রিত হয়ে নগরীকে এক মারাত্মকভাবে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
নগরীর রাস্তা সমূহের ধূলা-বালির উপদ্রব থেকে জরুরী ভিত্তিতে বিহীত ব্যবস্থা করণে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসবেন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন।