প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, বৃষ্টির জন্য হাহাকার

25

স্টাফ রিপোর্টার :
অতিবাহিত হচ্ছে বর্ষাকালের শ্রাবণ মাস। এরপরও বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে মানুষ। গত শুক্রবার থেকে প্রচন্ড গরমে নগরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীকূলেও দেখা গেছে পানি আর শীতল ছায়ার জন্য হাঁসফাঁস। পরিবেশ হয়ে উঠছে অসহনীয়। বেড়েছে জনজীবনে অতিষ্ঠতা। এছাড়া লোডশেডিংয়ে লোকজনকে করেছে আরো অতিষ্ঠ।
দেখা গেছে, তীব্র গরমের কারণে হাঁসফাঁস করা মানুষ কাহিল হয়ে পড়ছেন। বাসাবাড়ি থেকে অফিস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সবজায়গাতেই এক অবস্থা। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা-বাড়ি থেকে বের হননি। তবে ঘরে থেকেও স্বস্তিতে ছিলেন না লোকজন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাতাসের আর্দ্রতার কারণে প্রচন্ড ঘাম তৈরি হচ্ছে শরীরে। শিশুসহ সবাইকে বেশি করে পানি খেতে হবে। বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবের পানি, স্যালাইন খেতে হবে। তাহলে শরীরে পানিশূন্যতা হলেও সে জায়গায়টা পূরণ হবে। এতে করে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
সিলেটের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আদ্রতা কম থাকার কারণে এই বৃষ্টি স্বস্তিদায়ক হবে না। গতকাল সোমবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমেদ চৌধুরী জানান, বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকার কারণে লোকজন বেশি অস্বস্তিতে পড়েছেন। তিনি আরো জানান, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আগামী ৬ আগষ্ট থেকে টানা কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এসব বৃষ্টিপাত স্বস্তিদায়ক হবে না।