করোনা ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার

18

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সচেতনতা সৃষ্টিতে সকলের জোর দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করলেও তা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা দেখার জন্য দায়িত্বশীল কোন সংস্থাই গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে না। ফলে প্রতিনিয়ত মৃত্যু, শনাক্ত, সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই করোনা ভাইরাসকে ঠেকাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে যথারীতি সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও বাস্তবে কি এ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন হয়েছে। এ ছাড়া মাস্ক না পরলে দন্ড দেয়ার কথা থাকলেও কোনটিও হচ্ছে না। এ ভাইরাস খেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়ার কথা থাকলেও এ নীতিগুলোর কোনটিই সাধারণ মানুষ মানছেন না। মাস্ক না পরে রাস্তায় বের হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক পরতে অনিহা ও উদাসিনতা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য নয়। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদ্ধতিসহ সচেতনতা না থাকায় করোন নামক ঘাতক মরণ ব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
করোনা ভারাসটি মূলত; মানুষের হাঁচি, কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিক হয়ে পড়ে। তাই সুস্থ, অসুস্থ সকলেই মাস্ক পরা অতি জরুরী।
দেশে বিভিন্ন শ্রেণীর লোককে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে না। তাই শুধু মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার নীতি প্রয়োগ করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মানাতে জরুরী হচ্ছে, আইন বাস্তবিকভাবে প্রয়োগ করা। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।
দেশের সাধারণ মানুষজনকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে পাড়া-মহল্লায় শহর সহ গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক প্রচারকার্য চালাতে হবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগ করতে হবে।