কামরুন্নাহার কণা
পদ্ম ফোটা ঝিলের ধারে,
বসে আছি বর্ষার দুপুরে
পদ্মকে বললাম,
পদ্ম,রোজ রোজ দিবি কি?
এমন সুন্দর মূহুর্ত!
কিছুই বলেনি পদ্ম!
আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে,
মাথাটা একটু নেরে ছিল
বুঝিনি পদ্মর ভাষা
দিল কী কথা,
নাকি দিল মনে ব্যথা।
পদ্মর কাছে বিদায় নিয়ে
ফিরছি যখন বাড়িতে,
চোখ আটকে যায় কদমের দিকে।
কি সুন্দর ঝুম বৃষ্টিতে
মিটমিটিয়ে হাঁসছে সে।
মন চাইছে তাকে কাছে পেতে
যত্ন করে রাখবো যে,
আসো না কদম ভাই আমার কাছে,
কতক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম তার পানে,
তবুও আসলো না আমার কাছে!
শূন্য হাতে,রিক্ত মনে
ফিরছিলাম নিজ গন্তব্যে।
হঠাৎ দেখি চমকে উঠি!
কেউ পিছু নিয়েছে বুঝি!
পিছন ফিরে দেখি,
শুধু পড়ছে বৃষ্টি।
চলতে চলতে শুনি,
কেউ নাম ধরে ডাকলো বুঝি,
তাকাতেই যা দেখি,ভাবিনি আমি।
কেউ এগিয়ে এসে ,মৃদু হেসে
দু-হাত ভরে ভরিয়ে দিল,
কদম ফুলে।
একি ভাইয়া ,তুমি!
হ্যাঁ,পাগলি আমি।
চল ফিরে ঘরে,
কাল আবার যাব
ঐ ঝিলের ধারে,
রোজ রোজ এনে দিবো
কদম ফুল তোরে।