অবৈধভাবে ইতালি যেতে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ॥ রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক সহ ৬ মানব পাচারকারী অভিযুক্ত

25

স্টাফ রিপোর্টার :
লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে চার্জশিট দিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম খান সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আহমদের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, মানবপাচারকারী এই চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইতালি পাঠাতো। এছাড়া এ চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। ২০১৯ সালের ৯ মে ভূমধ্যসাগর পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান বেশ কিছু বাংলাদেশীসহ কমপক্ষে ৬৫ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ মে রাতে সিলেটের আলোচিত মানবপাচারকারী এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভূমধ্যসাগরে নিহত আবদুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন।
অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক এনামুল হক, গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাম্মণবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, নোয়াখালির মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুব রিপন ও আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতা লিবিয়া প্রবাসী নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক। এদের মধ্যে এনামুল হক ও আবদুর রাজ্জাক কারাগারে রয়েছেন আর বাকী আসামী এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকার সাইফুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।