জলাবদ্ধতা দূরীকরণে গণসচেতনতা

13

সিলেট মহানগরীসহ এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে যতসব পরিকল্পনা নেয়া হউক না কেন ? যতক্ষণ পর্যন্তনাগরিদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নামক ব্যাধি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়।
সিলেট মহানগরী সহ এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে যুগ-যুগ থেকে শুধু পরিকল্পনাসহ বড় অংকের বরাদ্দ ঘোষণা করে ও কোন ধরনের সফলতা পাচ্ছে না নগরবাসী। প্রতিবছর নগর বাজেটে নগরবাসীর কল্যাণার্থে শুধু ঘোষণাই থেকে যায়। মাঝে-মধ্যে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের কাজ শুরু করা হলে ও ধীর-গতির কারণে সুফলতা আসছে না বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার কাছে জিম্মি নগরবাসী।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল-নালা, ড্রেন নর্দমা সমূহ সংস্কার করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে, অনেক গুলো খাল-নালা, ড্রেন- নর্দমা সংস্কার ও হয়েছে। কিন্তু সংস্কারকৃত নালা-নর্দমা গুলো সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং সচেতনতার অভাবে ময়লা-আর্বজনার বাগাড়ে রূপ নিয়েছে। সংস্কারকৃত নালা-নর্দমা গুলোতে বিবিন্ন ধরনের আর্বজনা ফেলে দেয়ায় প্রতিটি নালা-নর্দমাসহ ড্রেন গুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি ছাড়া ও বাসা-বাড়ীর ময়লা পানি চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। মহানগরীসহ আস-পাশ এলাকা সমূহে নামে-বেনামে কল-কারখানা, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্থাপন করা হয়েছে, এ গুলোতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক জাতীয় বিভিন্ন দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের পলিথিনের ব্যাগ, নালা-নর্দমা গুলোতে ফেলে দিয়ে মহানগরের পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
নগরীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজন নগরবাসীর সর্বক্ষেত্রে গণসচেতনতা।