অবশেষে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বদলি, নতুন ওসি আখতার

10

স্টাফ রিপোর্টার :
নানা সমালোচনার মুখে ও দক্ষিণ সুরমায় আইন-শৃংঙ্খলার অবনতির কারণে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপির) দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজলকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ট্যাংক লরি শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) বদলি করে নেওয়া হয়। মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হিসেবে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর মোগলাবাজার থানার ওসি’র দায়িত্ব পালন করবেন ওই থানার ওসি (তদন্ত) সাহাবুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল নিজের বদলির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে বদলি করা হয়েছে।
তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই তাদের অন্যত্র পদায়ন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ১০ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট এলাকায় ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর রাত থেকে ট্যাংক লরি শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে এবং অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে সিলেটের সকল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেন। পরে শনিবার দুপুরে শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ওই দিন প্রশাসনের কাছে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল, থানার সেকেন্ড অফিসার রিপন দাস ও দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার এবং প্রথম সারির আসামিদের গ্রেফতারসহ ৩ শর্তে অবরোধ তুলে নেন। তবে তারা পুলিশের ৩ কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করলেও এসআই রিপন দাস আগেই বদলি হয়ে যান। দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ বহাল আছেন। আর ওসি খায়রুল ফজলকে প্রত্যাহার নয় বদলি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার।
জানা গেছে, গত শনিবার সকালে নিহত ইকবাল হোসেন রিপনকে স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় ১৩ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি নোমান ও জড়িত সন্দেহে সাদ্দাম হোসেন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়। এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে শ্র্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। পথসভা থেকে শ্রমিকরা ইকবাল হোসেন রিপন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করেন।