ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে উদ্ধার হওয়া লাশের বহনকারী অটোরিক্সাসহ চালক গ্রেফতার

13

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের ষাটঘর এলাকায় উদ্ধার হওয়া লাশের দায়েরকৃত হত্যা মামলায় আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টায় মো. জালাল (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হত্যাকাণ্ডের পর লাশ বহনে নিজের অটোরিক্সা ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. জালাল নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা থানার সেমিয়া গ্রামের সমুজ আলীর পুত্র। তিনি বর্তমানে শাহপরান থানা এলাকায় হারপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ১০ জুন মোগলাবাজার থানার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের ষাটঘর এলাকার রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের কান্দুবস্তির মৃত ছোবান মিয়ার পুত্র আবুল কালামের বলে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় ১৩ জুন তার স্ত্রী মোগলাবাজার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ১৪ জুন এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাড়ি থেকে সিলেটে এসে ১০ জুন আর ফিরেননি। তিনি প্রায়ই ব্যবসার কাজে সিলেটে রাতযাপন করেন। তার পরিবার ভেবেছিল ওই দিনও তিনি সিলেটে রয়ে গেছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে ছবি দেখে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারে তারা। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার পর নানাভাবে তদন্ত চালিয়ে নিশ্চিত হয়, আবুল কালাম ওই দিন রাতে নগরীর নিউ সুরমা বোর্ডিংয়ে ছিলেন। সেখান থেকে গভীর রাতে তার লাশ সিএনজি অটোরিক্সাযোগে ষাটঘর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ আগে সুরমা বোর্ডিংয়ের ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এবার ওই অটোরিক্সার চালককে হারপাড়া এলাকা থেকে (সিলেট-থ-১২-৩৬৬৬) নং সিএনজি অটোরিক্সাসহ গ্রেফতার করেছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মামলা হয়েছে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে। তবে আবুল কালাম ঠিক কিভাবে মারা গেলেন, তাকে হত্যা করা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। ওসি আক্তার হোসেন বলেন, যেটাই ঘটুক, তা নিউ সুরমা বোর্ডিংয়েই ঘটেছে। এটাই অপরাধের স্থান। পরে লাশ বাইরে নিয়ে ফেলা হয়। পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে।