সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলাকালে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকদের সভা

5
সিলেট বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন-২১৭৪ এর জরুরী সভায় বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি মো: মনির হোসেন।

সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলাকালে ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়ন-২১৭৪ এর উদ্যোগে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ৩ জুলাই শুক্রবার বিকালে দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডের পিরোজপুরস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে জরুরী সভায় বক্তারা বলেন, শ্রমিকরা কখনো অন্যায় ও অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন না। লরি শ্রমিকগণ সব সময় অত্যন্ত শান্তি প্রিয় ভাবে নিজেদের জীবিকা নির্বাহে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই শান্তি প্রিয় শ্রমিকদের অশান্ত করতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের উপর অন্যায় ভাবে হামলা চালিয়ে আহত করেন এবং সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। অনতিবিলম্বে দক্ষিণ সুরমা ও সিলেট রেলওয়ে থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সর্বস্তরের ট্যাঙ্কলরী শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপনের পরিচালনায় জরুরী সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় ট্যাঙ্কলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি কাউছার আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আজিজ, অর্থ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক মোঃ গোলাপ খান, লাইন সম্পাদক কবির খান, কার্যকারী সদস্য বশির মিয়া, আব্দুল জলিল। যথাক্রমে সাবেক সভাপতি এম এ মানিক, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, অর্থ সম্পাদক একে আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, লাইন সম্পাদক কবির মিয়া ও আবুল মিয়া, সংগঠনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ফায়ছাল মিয়া, সহ সভাপতি সেলিম আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল আলী, অর্থ সম্পাদক বেনু মিয়া, দপ্তর সম্পাদক নুর ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা নবীর হোসেন, আব্দুল হালিম, নাছির মিয়া, মালিক মিয়া সহ সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। বক্তারা আরো বলেন রেলওয়ে সিলেটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) আকবর হোসেন মজুমদারকে রেলওয়ে কলোনী মসজিদ সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভূমিতে ট্যাঙ্কলরি রাখা বাবদ প্রতি মাসে আমরা ৩০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আসছি। বিগত কয়েক দিন যাবৎ ৩০ হাজার টাকা স্থলে ৫০ হাজার টাকা ধার্য করে চাপ দিচ্ছেন আকবর হোসেন মজুমদার। শ্রমিকগণ এত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে প্রকৌশলী আকবর হোসেন মজুমদার ২৯ জুন সোমবার বেলা ১১টায় লরি রাখাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে শ্রমিকরা আহত হন। বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের মেরে আহত করেও ক্ষান্ত হয়নি প্রকৌশলী। উল্টো শ্রমিকদের উপরে দক্ষিণ সুরমা ও সিলেট রেলওয়ে থানা মামলা দায়ের করেছেন। বক্তারা অনতিবিলম্বে সাজানো মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। অন্যথায় সর্বস্তরের শ্রমিকদের নিয়ে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবে। বিজ্ঞপ্তি