যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাটের অনুমতি দেয়া যাবে না, মহাসড়কের উপর বা পাশে বসানো যাবে না হাট – ওবায়দুল কাদের

23

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন ‘যত্রতত্র পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না, প্রয়োজনে হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া মহাসড়কের ওপর কিংবা পাশে বসানো যাবে না। পশুরহাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের আগেই করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।’
বুধবার ওবায়দুল কাদের তার সংসদভবনের সরকারী বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক আনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যত্রতত্র পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে কোরবানির পশুরহাট স্বাস্থ্যঝুঁকির ভয়ানক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। মহাসড়ক ও এর আশপাশে পশুরহাটের অনুমতি দেয়া যাবে না।’ নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের বিষয়ে তিনি বলেন, অসহায়, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলে ফি দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এতে তারা পরীক্ষার বাইরে থেকে যাবে এবং সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে। তাই খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
লকডাউন শেষ হওয়া এলাকাসমূহে সংক্রমণ রোধে ইতিবাচক ফল এসেছে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই মতামত তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার আরও কিছু এলাকায় সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। আপাত এই বিচ্ছিন্নতা সকলের কল্যাণের জন্য। সাময়িক এ বিচ্ছিন্নতা দীর্ঘ মেয়াদে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য নিশ্চিত করার জন্যই করা হচ্ছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিবিড়ভাবে বন্যা পরিস্থিতি মনিটর করছেন। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশ যে সক্ষমতা দেখিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই ধারাবাহিকতায় এবারও অসহায় মানুষের পাশে থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে, এ রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়লে তা সীমাবদ্ধ সুযোগ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হবে কষ্টসাধ্য, সমসাময়িক বিশ্ব প্রেক্ষাপটে তার প্রমাণ পেয়েছি। তাই সকলের প্রতি অনুরোধ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সমাজিক দূরত্ব ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলি, সামান্যতম অবহেলা আর উদাসীনতা আমাদের প্রিয়জন থেকে দূরে সরিয়ে দিবে। এই চিরচেনা জগতটাকে করে দিবে অচেনা, স্বপ্নের রঙে সাজানো বর্ণিল পৃথিবী হয়ে যাবে বিবর্ণ।