টোকিওবাসী চাইছে না ২০২১ সালে অলিম্পিক

3

স্পোর্টস ডেস্ক :
চলতি বছর জাপানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অলিম্পিক। করোনাভাইরাসের প্রকোপে যা আয়োজকরা পিছিয়ে দিয়েছেন এক বছর। কিন্তু তারপরেও কি সহজ হবে অলিম্পিক আয়োজন করা?
গত সপ্তাহান্তে টোকিওর দুই মিডিয়া সংস্থা—কিয়োদো নিউজ এবং টোকিও এমএক্স টেলিভিশন একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল শহরবাসীর মধ্যে। তাঁদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৫১.৭ শতাংশ টোকিওবাসী চাইছেন না আগামী বছরেও অলিম্পিক হোক। আর অলিম্পিক হওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন ৪৬.৩ শতাংশ মানুষ।
এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১০৩০ জন। গ্রেটার টোকিওর জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৭৪ লক্ষ। তাই মাত্র ১০৩০ জনের সমীক্ষা হয়তো পুরো চিত্র তুলে ধরে না। তবু হাজার জনের মধ্যে যে ৫১.৭ শতাংশ মানুষ আগামী বছর অলিম্পিক চাইছেন না, তা আয়োজকদের জন্য খুব স্বস্তির খবর নয়।
এই ৫১.৭ শতাংশের মধ্যে ২৭.৭ শতাংশ মানুষ আবার একেবারেই চান না টোকিওতে আর অলিম্পিক হোক। বাকি ২৪ শতাংশ চাইছেন, অলিম্পিক আরও পিছিয়ে দেওয়া হোক। শহরবাসীর মধ্যে এখনও করোনা-আতঙ্ক কাজ করছে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার অ্যাথলেট, কোচ, দর্শক, কর্মকর্তাদের আনাগোনায় তাঁরা ভয় পাচ্ছেন।
অলিম্পিক পেছালেও বাতিলের ভাবনা আপাতত নেই আয়োজকদের। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছিলেন, ‘অলিম্পিক এমনভাবে আয়োজন করতে হবে, যাতে বোঝানো যায়, সারা বিশ্ব এই মহামারী কাটিয়ে উঠেছে।’
জুনের শুরুতে আয়োজক সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি এড়িয়ে গিয়েছিলেন অলিম্পিক পুরোপুরি বাতিলের সম্ভাবনার কথা। বলেছিলেন, ‘সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। এখনই গেমস বাতিল নিয়ে কিছু বলা ঠিক নয়।’
তবে দু’মাস আগে যখন অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন মোরি নিজেই অন্য কথা বলেছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে মোরি বলেছিলেন, ‘এক বছর পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে গেমস বাতিল করা হবে।’