স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়মের প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

9
স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও চিকিৎসা সেবায় অনিয়মের প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

গতকাল মঙ্গলবার ২৩ জুন সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, কোভিড ১৯ করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব ও দেশব্যাপি সাধারণ চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়মের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইন্দ্রানী সেন শম্পার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন – কোভিড ১৯ করোনা বিশ্বব্যাপি এক মহামারী, মহাদুর্যোগের নাম। অতীতে অর্থ মন্দার ফলে দুর্ভিক্ষ, বন্যা, খরাসহ নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রান নাশ, জীবনযাত্রায় লাগবহীন ক্ষতি হলেও মরণঘাতি এমন ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশ্বব্যাপি লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত ও প্রতিদিনের মৃত্যুর মিছিল এবারই প্রথম বিশ্ববাসি প্রত্যক্ষ করেছে। করোনা আক্রান্তের ফলে এমন মরণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে যে পূর্ব প্রস্তুতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, দক্ষ চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রয়োজন তা আমাদের নেই। কিন্তু যেটুকুও আছে তাও চিকিৎসা খাতে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার কারণে ব্যাহত হয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি কোভিড-১৯ করোনা পরীক্ষা করার জন্য যে পরিমাণ ল্যাব প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে ১০ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে এতে যিনি ভাইরাসটি নিরবে বহন করছেন তিনি অন্যদের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে আর যিনি করোনা রোগী না তিনি সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মানসিক ভাবে হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছেন। বক্তারা আরো বলেন সরকারের দুর্নীতির ফলে মন্ত্রী, আমলা, ডাক্তার, পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করছেন। সুষ্ঠু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ রোগীরাও নানান হাসপাতালে ধর্না দিচ্ছে কিন্তু চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সিকান্দর আলী বলেন – মানুষ যখন করোনা মহামারিতে বিপন্ন তখনো এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ পিপিই, অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে দুর্নীতিতে লিপ্ত। বড় অংকের টাকার বিনিময় করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট কেনা বেচা কিন্তু সরকার নির্বিকার। এ মহামারির কারণ মানুষ যখন তীব্র খাদ্য সংকটে তখনও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়িরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায়, কিছুই জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে ত্রাণ চুরি করে কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। তিনি আরো সরকার সংক্রমিত এলাকাগুলো জোন অনুযায়ী ভাগ করে যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ সেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ও লকডাউন দিলেও সিলেট ঝুঁকিপূর্ণ রেড জুনের আওতায় পড়লেও শুধুমাত্র সিলেটের স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে লকডাউন হয়নি। তিনি বলেন এতেই বুঝা যায় সরকার আজ আমলাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। সবশেষে তিনি দশ দফা দাবী পেশ করেন। বিজ্ঞপ্তি