তিন মাস পর ইউরোপীয়দের জন্য সীমান্ত খুলে দিল স্পেন

18

কবির আল মাহমুদ, স্পেন থেকে :
করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব কমায় দীর্ঘ তিন মাস পর ইউরোপীয়দের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে স্পেন। সোমবার (২২ জুন) থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। ইউরোপের সব দেশ প্রবেশাধিকার পেলেও আপাতত পর্তুগালকে এই সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে ব্রিটিশ পর্যটকদের ভ্রমণ সহজ করেছে স্পেনের সরকার। সোমবার থেকে কোয়ারেন্টাইনে না থেকেই ব্রিটিশরা স্পেনে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরনছা গোনজালেজ লায়া জানান, ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য স্পেন তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। রবিবার (২১ জুন) থেকে আর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না ব্রিটিশদের।
তিনি বলেন, ২১ জুন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোর মতো ব্রিটেনের নাগরিকদেরকেও স্বাধীনভাবে স্পেনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এবং তাদের আর কোনো কোয়ারেন্টাইন দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ব্রিটিশদেরও অন্যান্য ইউরোপিয়ানদের মতো তিনটি পরীক্ষা করা হবে। প্রথমটি হচ্ছে তাদের জন্মগত, দ্বিতীয়টি তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা আর তৃতীয়টি তাদের যোগাযোগ নম্বর নেওয়া হবে। যোগাযোগ নম্বর নেওয়া হবে যাতে প্রয়োজনে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চাই।
এসব দেশের দর্শনার্থীদের স্পেনে পৌঁছানোর পর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হবে না। তবে যেসব এলাকায় জনসমাগম বেশি সেসব এলাকায় সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব নয় বলে পরতে হবে মাস্ক।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম এল পাইস জানায়, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। আর স্পেনে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছে।
স্পেন পর্যটন খাতের ওপর মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর সাধারণত ৮ কোটি পর্যটক স্পেন ভ্রমণে যান। দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১২ শতাংশের বেশি আসে পর্যটন খাত থেকে। তাই সবার আগে সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়টি মাথায় ছিল সরকারের।
এদিকে, রোববার থেকে দেশের ভেতরেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে। অনেকেই দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন। রাজধানী মাদ্রিদের বিমানবন্দরগুলোতেও যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
স্পেনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩২২ জন। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫২ জন।