বাজার স্থিতিশীল করুন

12

করোনাভাইরাস সমাজজীবনে বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে। তিন মাসের সাধারণ ছুটি নিম্ন আয়ের অনেক মানুষকে কর্মহীন করেছে। অনেক মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছে। এই ঘোর দুঃসময়েও নিত্যপণ্যের বাজার সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে মানুষের মধ্যে নিত্যপণ্য মজুদের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। তখনো বাজারে এর প্রভাব পড়ে। বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দাম। এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউনের খবরে আবার বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানা গেছে। গত ৩১ মে সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু ফের লকডাউনের খবর চাউর হলে এই সপ্তাহের শুরু থেকে আবার বাজারে বেড়েছে কেনাকাটার চাপ। এতে নিত্যপণ্যের দামও কিছুটা বেড়েছে।
বাংলাদেশে নীতিনৈতিকতা নেই বললেই চলে। সুযোগ পেলেই কোনো না কোনো অজুহাতের কথা বলে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সভ্য দুনিয়ায় খুচরা পর্যায়ের বাজারেও কিছু নিয়ম-কানুন থাকে। দুর্ভাগ্য, আমাদের তা নেই। কারো কারো মাসিক বাজার খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে শরীরের ওপর। জীবনযাত্রার ওপর। অনেকে হয়তো ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করে পরিবার সামলাচ্ছেন। লকডাউনের নামে যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, তা একেবারেই ব্যাবসায়িক নৈতিকতাবিরোধী বলে আমরা মনে করি। অতিরিক্ত পণ্য ঘরে মজুদ করে রাখার কোনো যুক্তি আছে বলে মনে হয় না।
বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে পারত একটি বিকল্প বাজার ব্যবস্থা। বাজারে নিয়মিত নজরদারিতেও যেন অনীহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের জিম্মি করতে পারছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় বাজার স্থিতিশীল রাখা। যা সকলের প্রত্যাশা।