ছাতকে বকেয়া বেতনের দাবিতে নিটল-টাটা কার্টিস মিলে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ

10

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে নিটল-টাটা কার্টিস মিলের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শ্রমিকরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারাখানা সচল রেখে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, নিটল-টাটা কার্টিস মিলে প্রায় ৩শ’ শ্রমিক বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। গত এপ্রিল থেকে শ্রমিকরা বেতন- ভাতা পাচ্ছিলেন না। বেতন না পাওয়ায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছিল চাপা অসন্তোষ। মঙ্গলবার কর্মরত আংশিক শ্রমিকদের মোবাইল ম্যাসেজে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাদের দাবী কারখানা সচল থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তারা কোন কারণ ছাড়াই তাদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়াতে গত ৩ মাস ধরে ধার-কর্জ করে মানবেতর জীবন-যাপন করছে শ্রমিকরা। এ ছাড়া কারখানার সহকারী ম্যানেজার (কোয়ালিটি-কন্ট্রোল) জহিরুল ইসলামের অসৌজন্যমূলক আচরণে শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বকেয়া বেতন এবং সহকারী ম্যানেজার কোয়ালিটি-কন্ট্রোল) জহিরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষে কাউসার আহমদ, আবুল হাসেম, রিপন মিয়া, এনামুল হক, আনোয়ার হোসেন, মিলন মিয়া, ইব্রাহিম আলী, আব্দুল খালেক, বিল্লাল আহমদ, রাশেদ মিয়াসহ শ্রমিকরা জানান, বকেয়া বেতন বা শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলা হলেই সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম শ্রমিকদের সাথে অশালিন আচরণ করে থাকেন।
বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ চাকুরীচ্যুত করার হুমকিও দিয়ে থাকেন এ কর্মকর্তা। কারখানা সচল রেখে শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের অপসারণ দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। কারখানার ডিজিএম আমিরুল ইসলাম ও এডিজিএম জহিরুল ইসলাম জানান, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রয়া ৩৫ কোটি টাকার প্রোডাক্ট আটকে আছে। বিক্রিত প্রোডাক্টের টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে শ্রমিকদের বেতন দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। ১৫ দিনের বেতন পরিশোধের কথা স্বীকার করে তিনি জানান, কেন্দ্রিয় অফিসের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।