নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডই ‘রেড জোনে’ আসছে কঠোর লকডাউন

76

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এবার জোনভিত্তিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। এ পদক্ষেপের আওতায় সিলেট জেলাকে রেড, গ্রীণ ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দিনব্যাপী এ জোন ভাগ করেছে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়। এর মধ্যে সিংহভাগ এলাকাই রেড জোনের আওতায় পড়েছে বলে জানা গেছে। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলার সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল।
তিনি বলেন, রবিবার সারাদিনে সিলেটের প্রত্যেক উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্যন্ত এবং সিলেট মহানগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ড পর্যন্ত রেড, গ্রীণ ও ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। আজ সোমবার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে জোনগুলো অনুমোদন হবে। পরে মাল্টিসেক্টরাল সভায় এটি প্রকাশ করা হবে। প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, মাল্টিসেক্টরাল সভায় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত থাকবেন। রেড, গ্রীণ ও ইয়েলো জোন কিভাবে কার্যকর করা হবে, সেখানে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিভিল সার্জন জানান, সিলেট মহানগরীতে রেড জোনই বেশি। আর উপজেলা পর্যায়ে রেড ও গ্রীণ জোন বেশি। কিছু এলাকা আছে ইয়েলো জোনে। সিলেটের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রস্তাবনাগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোকে কঠোরভাবে লকডাউন করা হবে।
সূত্র জানায়, যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি, সেসব এলাকাকে রেড জোনের আওতায় আনা হচ্ছে। এর চেয়ে কিছুটা কম সংক্রমণ অবস্থার এলাকাকে রাখা হচ্ছে গ্রিন জোনে। আর সংক্রমণের হার কম এলাকাকে ইয়েলো জোনে ভাগ করা হচ্ছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেড জোনে কঠোর কড়াকড়ি থাকবে। এ জোনের কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে যেতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণীবিতান, সরকারী-বেসরকারী কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এমনকি এ জোনে ঘরে বসে নামাজ আদায় করতে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এদিকে রবিবার সিলেট সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডকে আলাদা আলাদা জোনে ভাগ করে একটি প্রস্তাবনা সিলেট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের করা তালিকায় ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ইয়েলো জোনে আছে ৪টি ওয়ার্ড ও গ্রীণ জোনে আছে ৫টি ওয়ার্ড।
সিটি করপোরেশন থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী, রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ড, ১২ থেকে ১৪ রেড জোন, ১৬ ও ১৭ ওয়ার্ড এবং ১৯ থেকে ২২ ওয়ার্ডকে।
ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- ১০ নং ওয়ার্ড, ১৫ নং ওয়ার্ড, ১৮ নং ওয়ার্ড, ও ২৭ নং ওয়ার্ড হলুদ
গ্রীণ জোনে আছে- ১১ নং ওয়ার্ড, এবং ২৩ থেকে ২৬ ওয়ার্ড।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নগরীর করোনা শনাক্ত হওয়াদের তালিকা যাছাই-বাছাই করে আমরা এই জোনিং করেছি। রোববার এই তালিকা সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছে। এবার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।