অমিত শাহ এর ঘোষণা ॥ ভোট বাক্সে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতাকে রাজনৈতিক শরণার্থী বানাবে

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভোট বাক্সে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে রাজনৈতিক শরণার্থী বানাবে। মঙ্গলবার ভার্চুয়াল জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেখে এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু রাজনীতি করার জন্য মমতা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
অমিত শাহের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শরণার্থীদের অধিকার রক্ষা করতেও চান না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ১৯৪৭ সালে যে ভুল হয়েছিল, আমরা ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করে তা শুধরে নিয়েছি। দেশভাগের সময় যে মানুষগুলি বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিয়েছি। ওইদিন মমতা দিদির চেহারা আমি দেখেছিলাম। রাগে একদম লাল হয়ে গিয়েছিল। আমি জীবনে কোনওদিন কোনও মানুষকে এইভাবে রাগতে দেখিনি। জনসভা করেছেন, রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং ধরনাও দিয়েছেন। আমি মমতা দিদিকে প্রশ্ন করতে চাই, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা আপনার সঙ্গে কী অন্যায় করেছেন? কেন আপনি ওদের সঙ্গে এইরকম ব্যবহার করছেন? আসলে উনি ওই মানুষগুলিকে রাজনৈতিক শরণার্থী বানিয়ে রেখে ভোটব্যাংক মজবুত রাখতে চেয়েছিলেন।
ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমে রীতিমতো পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের জন্যে বিজেপির সুর বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। বাংলা থেকে বামেদের সরিয়ে রাজ্যের মানুষ তৃণমূল সরকার এনে ভুগছেন, একবার বিজেপি সরকারকে সুযোগ দিয়ে দেখুন পস্তাবেন না, বলেছেন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জনসংবাদ র‌্যালির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে রাজ্যের মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার হঠানোর ডাক দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। মঙ্গলবারের ভার্চুয়াল র‌্যালিতে অংশ নিয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। আমরা রাজনীতি করছি না, রাজনীতি করছেন মমতাদি, আক্রমণাত্মক ঢঙে এমন কথা বলেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেন্দ্রের নানা সুবিধা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বঞ্চিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, কৃষকদের বঞ্চিত করছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি ক্রমেই এ রাজ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন, এই ভয়ে ভুগছেন মমতা, এ কথাও বলেছেন অমিত শাহ। খুব তাড়াতাড়ি বাংলায় বিজেপি সরকার আসতে চলেছে, এমন কথাও বলেছেন অমিত শাহ। করোনা এক্সপ্রেসেই মমতার সরকারকে বাংলা থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি তৃণমূল সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরে বলেছেন অমিত শাহ। পাশাপাশি মমতার সরকারের কাছে গত ১০ বছরের কাজের হিসাব চেয়েছেন অমিত শাহ।
এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করে ১৫ দিনের মধ্যে তাদের নিজেদের রাজ্যে পাঠাতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি করোনার কারণে হওয়া লকডাউনের নিয়মভঙ্গের জন্য যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তা তুলে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি তালিকা তৈরির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।