সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এর ঘটনায় আটককৃত কর্মচারীদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

14

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও করে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আটককৃত আউট সোর্সিং কর্মচারীদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। রবিবার রাতেই তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
রবিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে আউট সোর্সিং পদে কর্মরত ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা তাদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন করে লোকবল নিয়োগের নামে টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনার অভিযোগে সিভিল সার্জন কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ৮জনকে আটক করে।
বেতনভাতা পরিশোধের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মোছাঃ সখিনা বেগম, সালমা বেগম, সতী রানী দাস, লক্ষ্মী বেগম, জোৎস্না বেগম ও রাহেলা বেগম প্রমুখ কর্মচারীরা। তারা বলেন, আমরা বর্তমান প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস চলাকালেও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। কিন্তু গত ১২ মাস ধরে হাসপাতালগুলোতে কাজ করে গেলেও আমাদের বেতনভাতা বন্ধ থাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানববেতর জীবনযাপন করছি। তারা নতুন করে আউট সোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগ টেন্ডারের কার্যক্রম বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা গেছে ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির সমমানের আউট সোর্সিয়ের মাধ্যমে ২৩৪ জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ লাভের পর কর্মচারীরা মাত্র ২ মাসের বেতন পেয়েছে। এদিকে চুক্তি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আবারও সিভিল সার্জন কার্যালয় লোক নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। ৭ জুন রবিবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। বিক্ষোভের মধ্যেই ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে।
সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগের দরপত্রে অংশ নিয়েছেন একাধিক প্রতিষ্ঠান। আগের নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন করে আইনগতভাবেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাবেক কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য বিল প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শহীদুর রহমান বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনায় ৮ জনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের না করায় আটককৃতদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি