ছাতকে ভুয়া ইমাম সেজে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা

2

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে ভুয়া ইমাম সেজে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৫হাজার টাকার অনুদানের চেক হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এক বহুরূপী প্রতারক। বুধবার ইমাম-মোয়াজ্জিনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তালিকাভুক্ত নামের পাশে দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে বিপরীত প্রান্ত থেকে প্রতারক সাদিকুর রহমান নিজেকে মানসীনগর মসজিদের ইমাম বলে পরিচয় দেয়। প্রতারক সাদিকুর ছাতক সদর ইউনিয়নের মানসীনগর গ্রামের গোলাম আম্বিয়ার পুত্র। জানা যায়, বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থতিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদেয় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সুবিধার্থে ছাতকের ৬৩৬টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিক বিতরণ করছিলেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এক পর্যায়ে ছাতক সদর ইউনিয়নের মসজিদের তালিকায় অসংগতি দেখে ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে বিষয়টি শেয়ার করেন। ছাতক সদর ইউনিয়নের মসজিদের তালিকায় ১২ নং ক্রমিকে গণক্ষাই মসজিদ নামে তালিকাভুক্তি রয়েছে। গণক্ষাই মসজিদ মূলত ছাতক পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তালিকাভুক্ত ওই মসজিদের নামের পাশে দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে ওই বহুরূপী প্রতারক সাদিকুর রহমান নিজেকে মানসীনগর গ্রামের মসজিদের ইমাম বলে পরিচয় দেয়। এদিকে মাসনীনগর মসজিদের ইমাম মাওলানা মাহমুদ আলী ইতিমধ্যেই অনুদানের চেক নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বুধবার সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানসীনগর গ্রামের পক্ষে হাজী মতিউর রহমানসহ ৭ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রতারক সাদিকুর রহমান কখনো যুবলীগ নেতা, কখনো আদর্শ কৃষক, ইমাম, গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও পশু- পালন প্রকল্পের পরিচালক সেজে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে একাধিক ভুয়া প্রকল্পের পরিচালক সেজে সে জাতীয় যুব উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশিত হলে প্রতারক সাদিকুর রহমানের নাম বাতিল করা হয়। এ ছাড়া গণশিক্ষার নামে বছর-বছর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে যাচ্ছে সে। আন্ধারীগাঁও জামে মসজিদের নামের সরকারী বরাদ্দ সৌর প্যানেল তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে সরকারী ৪টি সৌর প্যানেল স্থাপন করছে সে। তার এসব প্রতারনার জন্য গ্রামবাসী সরকারী বিভিন্ন সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবেদনে বিষয়টির তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান গ্রামবাসী।