জগন্নাথপুরে পৃথক সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত, আহত ৩০, আটক ১৯

18

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তখলুছ মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দাওরাই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ২৪ মে রবিবার সন্ধ্যায় রাস্তায় চলাচল নিয়ে দাওরাই গ্রামের বারিক মিয়া ও নিহত তখলুছ মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ তখলুছ মিয়া গুরুতর আহত হন। আহতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃদ্ধ তখলুছ মিয়ার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ২৫ মে সোমবার জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ময়না মিয়া ও সায়েক মিয়া নামের ২ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার এসআই রাজিব রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে জগন্নাথপুরে মসজিদের ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শালিসি ব্যক্তি সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত সহ দুই পক্ষের ১৭ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ঈদের দিন কুবাজপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম মাওলানা নাজমুল হাসানকে রাখা না রাখা নিয়ে মসজিদ কমিটির আরাফাত মিয়া সহ গ্রামবাসী ও আলী হোসেনের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ ও ইটপাটকেলের ঘটনায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে দিলোয়ার হোসেন, হোসাইন আহমদ, আবদুস সবুর, নুরুল আমিন, রাজু মিয়া, সাইফুল আমিন, আলী হোসেন, আবদুল আহাদ, শিপন মিয়া, জাহিদ হাসান, ফরিদা বেগম, দিলদার মিয়া, মাকবুল মিয়া, আজিজুল ইসলাম, জেসমিন বেগম, আলম মিয়া, রিপন মিয়া, মজনু মিয়া, আবদুল আলী, ছায়াদ মিয়া, সুনু মিয়া, ছয়ফুল আলম, মানিক মিয়া, আবদুল গণি, মকসুদ মিয়া সহ উভয় পক্ষ ও শালিসি ব্যক্তি সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই অনুজ কুমার দাশ, অনিক চন্দ্র দেব, আফছার আহমদ, মনিরুজ্জামান, এএসআই শাহিন চৌধুরী, মুক্তার হোসেন ও শিবলু মজুমদারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং পরে আবার সংঘর্ষের আশঙ্কায় আহত সহ উভয় পক্ষের ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে থানার এসআই অনুজ কুমার দাশ নিশ্চিত করেন।