বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

16
পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গোয়াইনঘাটের আলীরগাঁও ইউনিয়নের লাফনাউট গ্রামে পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি। ছবিটি বুধবার দুপুরে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও সারী নদীতে বেড়েই চলছে পানি। ইতোমধ্যে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানিও বাড়ছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
পাউবো সিলেট অফিস সূত্রে জানা যায়, টানা বর্ষন ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা ও সারী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সকাল ৯টায় সিলেটের সারি নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। এছাড়া কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি ছিল ১১.৩৯ মিটার, সিলেটে সুরমা নদীর পানি ছিল ৯.০২ মিটার এবং লোভা নদীর পানি ছিল ১২.২৮ মিটার। এগুলো বিপদসীমার উপরে না গেলেও পানির বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সুরমা, সারি ও লোভা নদীর মতো কুশিয়ারা নদীর পানিও গত দুইদিনে বেড়েছে। তবে এখনো কুশিয়ারার পানি সিলেটের তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমারনিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকাল সকাল থেকে সকল পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার জানান, অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও ভারতের পাহাড়ী এলাকা থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের সবকটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।