রাতের আঁধারে কর্মহীন মানুষের পাশে নবীগঞ্জ থানার ওসি

20

নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা  :
চোর, ডাকাত কিংবা দস্যু ধরতে নয়, রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন মুখোশ পড়া একদল মানুষ। তারা খোঁজ নিচ্ছেন, কেউ খাদ্য সঙ্কটে আছেন কি না। আর এমন মানবিক আচরণ নিয়েই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে, ঠিক তার মধ্যেই করোনা প্রতিরোধে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতি রোধে অসহায় হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত লোকদের বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন নবীগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রীর পাশাপাশি নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমানের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে রাতের আধারে লুকিয়ে লুকিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ একদল প্রতিনিধিরা।
এছাড়া এসপি ও ডিসি মোবাইল মেসেজ ও ওয়াটসআপে ফোন দেওয়া লোকদের মধ্যে ৪০০ প্যাকেট পৌঁছিয়ে দিয়েছেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে অত্যন্ত নিভৃতে নবীগঞ্জের দরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও কর্মহীন অসহায় লোকজনের পরিবার পরিজনদের মধ্যে নিজেদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন। এতে গরিব অসহায় লোকজন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এমন মহৎ কর্মে নবীগঞ্জ বাসীর পক্ষ থেকে খাদ্য বিতরণকারী সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল, এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছেন। বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি এইভাবে এগিয়ে আসেন, তাহলে দেশের অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলেই মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার এস আই সমীরণ দাশ বলেন, লোক জনের চোখ আড়ােল করে গোপনীয় ভাবে রাতের আধারে হতদরিদ্র অসহায় ও মধ্যবিত্ত লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি আমরা। নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আমার হবিগঞ্জকে বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কর্মহীন অসহায় পরিবারদের গোপনে তালিকা করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত লোকদের সামান্য খাদ্যের অভাব দূর করার কিছুটা চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন,নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান নিজ উদ্দ্যেগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করচ্ছেন জেনে আমি কিছু ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ও সরকারী প্রায় ৩৫০ পরিবারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য পৌঁছে দিয়েছি। জানতে পেরেছি তিনি তার অফিসার ও ফোর্স দিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী কর্মহীন মানুষের মাঝে তিনিসহ তার অফিসারদের বেতন ভাতা থেকে থেকে আরো অনেক পরিবারের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন।