মেয়র, সিলেট চেম্বার ও সর্বস্তরের ব্যবসায়িদের সিদ্ধান্ত মানলেন না হাসান মার্কেটের ব্যবসায়িরা

8
সামাজিক দূরত্ব অমান্য। ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে বেশির ভাগ দোকান খুলেছেন হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। সরকারি সিদ্ধান্তে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হলেও মানেন নি ব্যবসায়ীরা। ছোট্ট একটি দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতা মিলে সাত জন রয়েছেন। ছবিটি দুপুরে তোলা। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ি, সিলেট চেম্বারও সিটি মেয়র আরিফিল হকের সিদ্বান্তও মানলেন না হাসান মার্কেটের ব্যবসায়িরা। গৃহীত সিদ্ধান্ত না মেনে প্রায় অর্ধেক তাদের দোকান খোলা রেখেছেন। আর এতে মহিলা-পুরুষ ক্রেতারা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন। আজ মঙ্গলবার (১২মে) দুপুরে হাসান মার্কেটে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
গত শুক্রবার সিলেট নগরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ঈদের আগে খোলা না রাখার ঘোষণা দেন। নগরভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যমত্যভাবে এই সিদ্ধান্ত দিলেও এতে উপস্থিত ছিলেন না হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
তবে পরদিন শনিবার সিলেটের হাসান মার্কেটও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন মার্কেট কর্তৃপক্ষ। শনিবার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী সেদিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা গেছে- কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে হাসান মার্কেটের প্রায় অর্ধেক দোকানি তাদের দোকান খোলা রেখে কাপড় বিক্রি করছেন। আর এতে মহিলা-পুরুষ-শিশুরা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন। এতে চরম করোনাঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
মার্কেটের অর্ধেকের মতো দোকান খোলার থাকার বিষয়টি স্বীকার করে হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী মঙ্গলবার বলেন, আমি এখন মার্কেটেই অবস্থান করছি। কিছু দোকান খুলে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে আমরা একটু পরেই জরুরি বৈঠকে বসছি। বৈঠকে বসে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দিনের দিন দোকান না খুলে তারা কী ধরনের আর্থিক কষ্টে আছেন তা শুধু তারাই জানেন, কাউকে বলে বুঝাতে পারবেন না। পেটের দায়ে তারা দোকান খুলেছেন। তবে ক্রেতাদের তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছেন সবসময়। কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। তারা নিজেরাও সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং মার্কেটে ঢুকার মুখে সবার হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে।