১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর ক্রয়ের অনুমোদন পেল রোটারি ক্লাব অব জালালাবাদ সিলেট

18

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। মারা যাচ্ছেন অনেক মানুষ। দেশের হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার জন্য অতীব জরুরী ভেন্টিলেটর সংকটের খবর প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৮২ গভর্ণর প্রিন্সিপাল লে. কর্ণেল (অব.) এম. আতাউর রহমান পীর এর সহযোগিতায় জালালাবাদ রোটারী ক্লাব সিলেটের হাসপাতাল সমূহের জন্য ৮টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর এর জন্য রোটারি ফাউন্ডেশনের কাছে আবেদন করে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৪০, শিলং, ভারতের গভর্নর ডা. দেবাশীষ রায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করলে রোটারি ফাউন্ডেশন ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৫’শ ডলার ব্যায়ে উন্নতমানের ৮টি ভেন্টিলেটর ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য ১ কোটি ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৫’শ টাকা।
এ প্রসঙ্গে গভর্ণর এম আতাউর রহমান পীর বলেন, এই গ্লোবাল গ্রান্ট অনুমোদন হওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত, আমি মনে করি আমার একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। কারণ বৈশ্বিক মহামারীতে দেশের মানুষের সেবায় কিছু করতে পেরেছি এটা অনেক আত্মতৃপ্তির কাজ। রোটারি ক্লাবসমূহ সকল অবস্থায় মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখে এটা তার প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন, এই গ্র্যান্ট প্রাপ্তিতে রোটারি আন্তর্জাতিক জেলা-৩২৪০ গভর্ণর সহ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এবং নিজ ক্লাব জালালাবাদের যে সকল সদস্য এই প্রজেক্টের সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ করে পিডিজি ডা. মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শোয়েব আহমদ মতিন এবং প্রজেক্ট চেয়ারম্যান পিপি নীরেশ চন্দ্র দাসসহ সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য রোটারি ফাউন্ডেশন কোভিড ১৯ মোকাবেলায় ইতিমধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। বাংলাদেশও ৫০ হাজার ডলার আর্থিক সহযোগীতা পেয়েছে। এছাড়াও রোটারি ফাউন্ডেশন এধরনের প্রজেক্টের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবেলায় ব্যায় করছে।
ইতিপূর্বে বিশ্বজুড়ে পোলিও নির্মূলে রোটারি ফাউন্ডেশন বিগত ৪০ বছর যাবৎ যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা প্রশংসিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি